বাংলাদেশে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। আর তাই সরকার গোটা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৭২ জন এবং সংক্রমনের কারণে মৃতের সংখ্যা ৬০ জন। ১৬ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় ২,০১৯ জনের পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে পজিটিভ ধরা পরে ৩৪১ জন।
করোনা আক্রান্তের মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ, ধারণা করা হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়বে আক্রান্তের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে এই সব দিক হিসেব করেই সরকার আজ সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত জানায়।
বাংলাদেশে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম, এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ্ করেছেন যে এদেশে অন্যদেশের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কম। ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ টি জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে । এছাড়াও কিছু জেলার কয়েকটি উপজেলা বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে।
৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানীতে ৪৬টি এলাকায় সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে নিশ্চিতকৃত মোট রোগীর ৫৬ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
তবে ১৬ এপ্রিল সংক্রণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, “যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় রোগের সংক্রমণ ঝরিয়ে পরেছে। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১(১) ধারার মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।”
এই বিশেষ ঘোষণায় জানানো হয় যে জনসাধারণকে অবশ্যই লকদাউন মেনে চলতে হবে অন্যথায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।