পুরো বিশ্বে এখন চলছে করোনার তান্ডব, এর মধ্যে চলে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরটি কাটবে কিছুটা ভিন্নভাবে। তাই এই মাসের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এরই মধ্যে সব ধরনের ধর্মীয় জমায়াত থেকে বিরত থাকার বিষয় জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির মতো, যেকোনো ধরনের জনসমাগম সীমাবদ্ধ, সংশোধন, স্থগিতকরণ, বাতিল করা বা এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে নেয়া উচিত। ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েতের বিকল্প হিসেবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:
– মসজিদে নামাজ আদায় করা হলে, পরস্পরের মধ্যে ৩ ফুট বা ১ মিটার দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
– ঈদের কোলাকুলি, গায়ে হাত দেওয়া বা যেকোনো শারিরীক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
– রোজার বাজার করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মানুষের জমায়েত এরিয়ে চলতে হবে।
– করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলে তাদের বাসায় থাকতে বলুন পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।
– বয়স্ক এবং শারিরীকভাবে অসুস্থদের বিশেষভাবে সাবধানে থাকতে হবে, যেকোনো সমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘরে থাকতে হবে।
রমজানে সমাবেশের ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও-এর নির্দেশনা:
– বাসার বাইরে যেকোনো সমাবেশ পরিত্যাগ করতে হবে, প্রয়োজনে নিজের বাসায় আয়োজন করতে হবে তবে সেক্ষেত্রেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং অন্যান্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
– সমাবেশ যতোটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
– অতিরিক্ত মানুষের সমাবেশের বদলে অল্প সংখ্যক মানুষ মিলে সমাবেশ আয়োজন করতে হবে।
– নামাজ, ওযু, মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় এবং অন্যান্য সময়ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে।
– সমাবেশে অসুস্থ ব্যক্তি চিহ্নিত হলে দ্রুত তার ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
– মসজিদের প্রবেশ পথে এবং ভিতরে হ্যান্ড ওয়াশ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত টিস্যুও রাখতে হবে।
– পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
– মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য ব্যক্তিগত জায়নামাজ ব্যবহার করতে হবে।
– কোভিড সম্পর্কিত সচেতনতামূলক বার্তা সবাইকে নিয়মিত জানাতে হবে।
– মসজিদ প্রাঙ্গন, ওযু খানা নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
– সিড়ি, জানালা, দরজা এবং লাইটের সুইচও নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।