এবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন তারকা শিল্পীরাও। সাংগঠনিক কোনও জোটবদ্ধ কর্মসূচি কিংবা প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও দেশের নাটক, চলচ্চিত্র এবং সংগীতাঙ্গনের মানুষরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন প্রতিনিয়ত। যেমন প্রতিবাদ পূর্বের কোনও ইস্যুতে লক্ষ করা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পাশাপাশি কেউ কেউ সরাসরি রাজপথে নামারও আহ্বান জানাচ্ছেন।
তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম নিজের ফেসবুকে লিখেছেন এভাবে, ‘কোণঠাসা হয়ে ঝিমিয়ে, নুইয়ে, মেনে নিয়ে, সহ্য করে, আপস করে, ঠকে বাঁচার চেয়ে প্রতিবাদ করে নিজের বাঁচার পথ সুগম করা অনেক ভালো।’
অন্যদিকে নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গতকাল শনির আখড়ায় ট্রাকচাপার ঘটনা প্রসঙ্গে তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘শনির আখড়ায় আজ যা হলো সেটার পর বলতেই হচ্ছে- এদেশে আল্লাহর গজব নামতে বেশি দেরি নাই…।’
অন্যদিকে একই দিনে দেশের নন্দিত চিত্রনাট্যকার মাসুম রেজা সরকারের উদ্দেশে তার পোস্টে লেখেন, ‘নৌমন্ত্রীর নিষ্ঠুর আচরণের তুলনায় তার সামান্য দুঃখপ্রকাশ যথেষ্ট নয়। পরিবহন নীতিমালায় কী কী থাকছে মন্ত্রিসভায় ওঠার আগেই তার সারাংশ জানানো হোক। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে আছি।’
অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা লেখেন, ‘ধানমন্ডি থেকে উত্তরা যাচ্ছিলাম শুটিংয়ের উদ্দেশে। এয়ারপোর্ট ক্রস করার পর পরই দেখলাম জটলা, সব গাড়ি যে যার মতো তাড়াতাড়ি ঘোরাচ্ছে। আমি দেখলাম স্টুডেন্টদের আবেগ, তারা তাদের সোনার দেশ তো সোনার মতোই খাঁটি রাখতে চায়। সমর্থন রেখে গেলাম।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানি শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে লিখেন, ‘দয়া করে বাচ্চাদের গায়ে হাত দেবেন না। তারা কোনো আসনের নমিনেশন পাবার জন্য পথে নামে নাই, তাদের দাবি কেবল পথের নিরাপত্তা। মা-বাবাদের পথে নামতে বাধ্য করবেন না দয়া করে। ওরা আমাদের সন্তান। নাড়ি ছেঁড়া ধন! জারজ নয়!
৩১ জুলাই যুক্তরাজ্যে বসে সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ লেখেন, ‘হে বাংলাদেশ- ১৮ বছর বয়সের বুকে এতো ঘৃণা ও ক্রোধ জমিয়ে তুমি কাকে দেশপ্রেমিক বানাতে চাও?’
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কড়া বক্তব্য নৌপরিবহন মন্ত্রীকে ঘিরে। তার ভাষ্য এমন, ‘ নৈতিকভাবে তো উনার মন্ত্রিত্ব হারানোর কথা ছিল তারেক মাসুদের ঘটনার পর উনার ভূমিকার কারণেই। এইবার সেটা ষোলকলা পূর্ণ হইছে। এখানে মনে রাখা দরকার, কেউ উনার পদত্যাগ চাচ্ছে না, চাচ্ছে বরখাস্ত। পদত্যাগ করার মতো লজ্জা শরমবোধ উনার নাই। সবশেষে, সড়ক পরিবহন নীতিমালা বা আইন কানুন সংস্কার সেটা অন্য বিষয়। সেটার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল মহলকে চাপ দিতে থাকেন।