চোখের পলকে ফুরিয়ে গেল ভাষার মাস। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ শুরু হওয়া বই মেলা তার যাত্রা শেষ করেছে গতকাল। এই মেলাকে কেন্দ্র করে সুদিন-দুর্দিনের ওঠানামার মধ্য দিয়ে বছরের পর বছর চলছে দেশের সৃজনশীল ধারার প্রকাশনা ব্যবসা। নব্বইয়ের পর থেকে দেশে বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য লেখকের হাত ধরে দেশের প্রকাশনা ব্যবসা কিছুটা চাঙা হলেও পরবর্তী সময়কার লেখকদের পাঠকপ্রিয়তা সেই ধারা ধরে রাখতে না পারায় বেশ কিছুটা হোঁচট খেয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশকরা। আশার কথা, কবিতা, গল্প, উপন্যাসের গণ্ডী পেরিয়ে পাঠক এখন সমসাময়িক অনেক বিষয়ের প্রবন্ধধর্মী বইয়ের দিকে ঝুঁকেছেন। তবে খুব কম বইই খুব ভালো ব্যবসা করতে পারছে। এ কারণে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ থাকা সত্তেও যথেষ্ট মুনাফা না পেয়ে হতাশ প্রকাশকরা গেল বেশ কয়েক বছর ধরেই বাজারভিত্তিক বইয়ে ঝুঁকছেন।
বই মেলার কথা উঠলেই চলে আসে পুঁথিঘর ও মুক্তধারা প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশনা ব্যবসার দিকপাল প্রয়াত চিত্তরঞ্জণ সাহার নাম। বাংলা একাডেমির মাঠে তার হাতে গড়া এই মেলাকে ঘিরেই দেশে গড়ে উঠছে সৃজনশীল ধারার প্রকাশনা জগত। বর্তমানে দেশে সব ধরনের প্রকাশনা মিলিয়ে কেবল প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই আড়াই হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ১৭০টিরও বেশি জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর বই মেলাতেই সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বই প্রকাশ করছে।
রাজধানীর বাংলাবাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বড় বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোই এখনও এই খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাজার সম্প্রসারণ হয়ে শাহবাগ, ধানমন্ডি, বেইলি রোডের দিকেও চলে এসেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বড় বড় কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানও এখন যুক্ত হয়েছে এই ব্যবসায়। এদের মধ্যে বেঙ্গল পাবলিকেশনস, বাতিঘর, পাঠক সমাবেশ, দ্য ডেইলি স্টার বুকস ও প্রথমা অন্যতম।
প্রকাশকরা বলছেন, কাগজ-কালির দাম বাড়লেও মুদ্রন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় সেই অর্থে নাকি দাম বাড়েনি বইপত্তরের। তবে একটি নির্দিষ্ট বইয়ের খুব বেশি সংখ্যা বিক্রি না হওয়ায় বই প্রতি দাম একটু বেশিই নিচ্ছেন তারা। আগে একটি বই ১০০০ থেকে ৫০০ কপি ছাপলেও বিক্রি হয়ে যেতো এক মাসেই। যদিও অনেক বইয়ে ছাপানোর ক্ষেত্রেই ৩০০ কপির নিচে চলে এসেছেন তারা।
পলল প্রকাশনীর প্রকাশক খান মাহবুব জানান প্রকাশনী গুলোর বর্তমান হালচাল, ‘দেশের বইয়ের দোকানগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ এবং বাজারটাও খুব সংকীর্ণ। অথচ লেটার প্রেসের যুগেও বহু বই ছাপা হতো ১২৫০ কপি। এখন তারাই ৫০০ কপি থেকে ৩০০ কপিতে নেমে এসেছে। কিন্তু একটি বই এখনকার বাজারদর অনুযায়ী ৩০০ কপি বিক্রি হলেই কেবল ব্যয় উঠে আসে, কোনো মুনাফা হয় না।’
বর্তমানে যারা প্রকাশনা ব্যবসায় রয়েছেন তারা সবাই মূলত দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ী। প্রথম প্রজন্মের প্রকাশনা ব্যবসায় ছিলো নওরোজ কিতাবিস্তান, স্টুডেন্ট ওয়েজ, মাওলা ব্রাদার্স, আহমেদ পাবলিশিং, বিউটি বুক হাউস। এরকম ৭-৮টি প্রতিষ্ঠান দেশভাগের পর ১৯৪৮ থেকে ’৬০ সালের মধ্যেই গড়ে ওঠে। ওই সময় কিছু বইয়ের দোকানও হয়েছিলো। স্বাধীনতার পর দেশের প্রকাশনা খাতের বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। বর্তমানে এই খাতে প্রতি বছরই অনেক নতুন তরুণ যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও সবকিছু পেশাদারিত্বের সঙ্গে হচ্ছে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘সবকিছুই চলছে কিছুটা অপেশাদারভাবে। আগে অনেকে এটি শখ বা আবেগ থেকে করতেন। এখন এটা মূলধারার ব্যবসায় চলে আসছে। তাছাড়া বিপণন ব্যবস্থাও কিছুটা ভালো হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে।’
শিক্ষার হার, জনসংখ্যা ও সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনের আনুপাতিক হারে জ্ঞান ও সৃজনশীল বইয়ের ক্রেতা তেমন বাড়ছে না এমন অভিযোগ রয়েছে। এর কারন হিসেবে দামের বিষয়টি বারবার উঠে আসছে। প্রায় তিন দশক প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মো. মনিরুল হক বলেন, ‘বইয়ের দাম গত দুই বছর ধরে একই আছে। ছাপা খরচ কিছুটা কমেছে প্রযুক্তির কারণে। তবে ভালো লেখার খুব অভাব। ভালো লেখা না পেলে আমরা কি করবো। বেশিরভাগ লেখকই মেলার আগে আগে লেখা নিয়ে হাজির হন। ভালো সম্পাদনাও নেই আমাদের।’
প্রকৃতি প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক সৈকত হাবিব বলেন, ‘বর্তমানে পাঠক বিচিত্রধর্মী বই কিনছেন। কেবল সাহিত্যপাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সমসাময়িক জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, রাজনীতি-দর্শন ও চিন্তামূলক বিভিন্ন ধরনের বইয়ে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী পাঠকের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তাই বাণিজ্যিক জায়গাটি এখনও তেমন সুসংহত নয়।’
দেশের লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের জন্য একুশে বইমেলার গুরুত্ব অনেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু যে ভাষা-চেতনা থেকে এই বইমেলা, সে চেতনার প্রতিফলন খুব কম। বরং প্রতি বছর বিপুল হারে ভুলভাল ও মানহীন বই প্রকাশিত হয়, সে তুলনায় মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা নগণ্য। অন্যদিকে পরিসর বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেলার বৃহৎ অংশ গত তিন বছর ধরে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে স্থানান্তরিত হলেও মেলার সজ্জা ও স্টলবিন্যাস এখনো সুশৃঙ্খল নয়।’
২০১০ সাল থেকে বই প্রকাশ শুরু করে ‘প্রকৃতি’। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সাল থেকে কয়েক বন্ধু মিলে রাজধানীর কাঁটাবনে প্রকাশনা ব্যবসা শুরু করেছে বলে জানান উদ্যোক্তা সৈকত হাবিব। মাত্র ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ ছিলো তখন। বর্তমানে এটি কেবল প্রকাশনাই নয়, দেশ-বিদেশের বইয়ের পরিবেশক ও বই সরবরাহের কাজও করে থাকে। এক সময়ে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকা এই প্রকাশক বলেন, ‘শুরু করেছিলাম আবেগ থেকে। ভবিষ্যতে একটি বসার জায়গা তো হবে এই ভরসায়। কিন্তু এখন একে ঘিরেই পেশা গড়ার স্বপ্ন দেখি, যদিও কাজটি কঠিন।’
বছর কয়েক ধরে ব্যবসা কিছুটা ওঠানামার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান প্রকৃতির প্রকাশক। তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো বই প্রকাশ করার পরও পাঠক কম থাকায় এবং বিক্রেতা-পরিবেশকরা নিয়মিত পাওনা পরিশোধ না করায় অনেক সময়ই অনিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করতে হয়। আবার এখন কিছু বড় কর্পোরেট ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এই খাতে বিনিয়োগ করায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। বিশেষত স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীদের জন্য এ পেশা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’
বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, বর্তমানে বইমেলাকেন্দ্রিক পাঠকদের লক্ষ্য রেখেই সৃজনশীল বই প্রকাশের সব আয়োজন চলে। বই প্রকাশের জন্য মেলার অপেক্ষায় থাকেন লেখক এবং প্রকাশকরা। নাম প্রকাশ না-করে কয়েকজন প্রকাশক অভিযোগ করেন, বইমেলা যদিও সব প্রকাশকের কিন্তু স্টল বরাদ্দের দিক থেকে ছোট-বড় বৈষম্য প্রকট। সাধারণত বড় বা নেতাশ্রেণীর প্রকাশকরা বেশি সুবিধাগুলো নিয়ে নেন। অন্যদিকে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান আছে যারা পেছনের দিকে পড়ে থাকে, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। আবার নবীন প্রকাশকদের স্টল পাওয়ার ক্ষেত্রেও আছে নানা ভোগান্তি। অনেক সময় অনেক আগ্রহ নিয়ে বই প্রকাশ করলেও বাংলা একাডেমি স্টল বরাদ্দে গড়িমসি করে।
দেশের বাইরেও বাংলা বইয়ের বাজার রয়েছে বলে দাবি করেন গবেষক খান মাহবুব। তিনি বলেন, ‘কলকাতার কথা বাদই দিলাম, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরকে আমরা বই বিক্রির লক্ষ্য করতে পারি। করিমগঞ্জ পর্যন্ত আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি বিরাজ করছে। অথচ আমাদের সেই বাজারটি নেই। এমনকি ঢাকার বাইরেও খুব নগণ্য সংখ্যক দোকানে সৃজনশীল বই বিক্রি হয়। এর বইরে আছে নানা ধরনের সমস্যা: ভালো সম্পাদনা নেই, কাগজের দাম বেশি। তারপরও যদি বিক্রি ভালো হতো তাহলে বাজার ধরা কঠিন ছিলো না।’
প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত শিল্পখাত (লিংকেজ শিল্প) হিসেবে রয়েছে কাগজ ও কালি শিল্প। এছাড়া রয়েছে প্রুফ রিডিং, বাইন্ডিং, প্রচ্ছদ, ইলাস্ট্রেশন, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানসহ আরো আনুষঙ্গিক শিল্প ও ব্যবসাখাত, যা থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে দাবি করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, ছড়াকারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণির বিরাট একটি গোষ্ঠী রয়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত।
প্রকাশনা খাতকে আরো এগিয়ে নিতে একে সরকারিভাবে ‘শিল্প’ ঘোষণার দাবি অনেকদিনের। তবে সরকারি সহযোগিতা খুবই কম। দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রকাশনা ব্যবসায়ীরা তেমন কোনো ব্যাংক ঋণও পান না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সাল থেকে জ্ঞান ও সৃজনশীল বই প্রকাশের জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছে বলে সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে।
নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয় সেভাবে নবীনদের প্রকাশনা ব্যবসায় আসার জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে কাগজ সরবরাহ করা কিংবা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হলে এই খাত মননশীলতার চর্চায় আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন প্রকাশক সৈকত হাবিব।
তরুণ লেখক খালিদ ইবনে মারুফ বলেন, ‘বইয়ের বিপণন বাড়াতে প্রচুর পর্যালোচনা ছাপা হওয়া প্রয়োজন গণমাধ্যমগুলোতে। আমাদের দেশে এটা সঠিকভাবে হচ্ছে না। বিদেশি পত্রিকাগুলো নিয়ম করে সে দেশের সাহিত্য পর্যালোচনা ছেপে থাকে।’
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট জ্ঞান ও সৃজনশীল ধারার বইয়ের বড় বিপণন কেন্দ্র। এছাড়া শাহবাগের পাঠক সমাবেশ, ধানমন্ডিতে বেঙ্গল বই, বাংলামোটরে বাতিঘর, কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম মার্কেটকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় একটি বইয়ের বাজার। বেইলী রোডে বহু বছর ধরে সগর্বে চলছে সাগর পাবলিশার্স। নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকা পাঠ্যপুস্তুক ও গাইডবইসহ প্রায় সব ধরনের বইয়ের রয়েছে বড় বাজার।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম জানান বর্তমানে সমিতির সদস্য ১৭০। সদস্য নয় এমন সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ধরলে প্রায় ২০০ হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কি পরিমাণ বিনিয়োগ আছে সে তথ্য কোথাও সংরক্ষণ করা হয় না। এক একটি প্রতিষ্ঠানের ৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে। ছোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।’ সৃজনশীল প্রকাশকরা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিরও সদস্য। এই সমিতিটির সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে দেশে পাঠ্যবই ও গাইড বইসহ সব ধরনের পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বিক্রেতাসহ এ সমিতির সদস্যসংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার।’
বাংলা একাডেমি জানাচ্ছে যে, এবার বইমেলায় মোট ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। যা গতবার ছিল ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও বাংলা একাডেমি মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকার বই বিক্রি করেছে। মেলায় নতুন বই এসেছে ৪৫৯১টি।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ মেলায় এবার ছোট বড় ৪৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ননসহ ২৫টি প্যাভিলিয়ন ছিল এবছরের মেলায়। ইউনিট ছিল ৭৫০টি। শিশুতোষ বই প্রদর্শনের জন্য গেল কয়েক বছরের মতো ছিল আলাদা একটি কর্নার। লিটলম্যাগের জন্যও ছিল স্বতন্ত্র ব্যবস্থা। মেলা চলাকালীন সময়ে ২২, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত হয়েছিল সাহিত্য সম্মেলন।
ছবি: টুটুল নেছার