মেটালহেড ঝড়-বৃষ্টি রকস

না, বর্ষা এখনো বহু দূর। কেবলই এলো বৈশাখ। নববর্ষ উদযাপনের আনন্দে এখনো ধুলো জমেনি। অথচ বৃষ্টির ভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন বর্ষা চলেই এসেছে। অবশ্য এ বৃষ্টি আসলে বৈশাখেরই বৃষ্টি, বৈশাখী বৃষ্টি। প্রচলিত নাম বৈশাখী ঝড়। আকাশ কালো করে আসে, তারপর ঝরে পড়ে তুমুল ধারায়। সব কিছু ভিজিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে উড়িয়ে দিয়ে যখন চলে যায়, পুরো প্রকৃতি কেমন অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে যেন।

ঝোড়ো চরিত্রের এই বৃষ্টির সাথে তাই রবি ঠাকুরের রিমঝিম বৃষ্টির গান ঠিক খোলতাই হয় না। এই বৃষ্টিগুলো ঠিক মেলোডিয়াস নয়, বরং বলা যায় রকিং বৃষ্টি, মেটাল বৃষ্টি। স্করপিয়নের গানের মতোই এই বৃষ্টি এসে যেন প্রকৃতিকে বলে, হেয়ার আই অ্যাম, রক ইউ লাইক এ হারিকেইন। কিংবা ব্যাপারটা উল্টোও হতে পারে। কোনো একদিন কোনো এক হারিকেইন তথা ঝড়ে প্রকৃতিকে অমন বিপর্যস্ত হতে দেখে, সেই ঝড়ের তুমুল শক্তিমত্ততায় মুগ্ধতার থেকেই গানটার জন্ম হয়েছিল।

মোদ্দা কথা, বৃষ্টির দিনে রবি ঠাকুরের বৃষ্টির গানগুলো যেমন রোম্যান্টিকদের মনে তুমুল বিমোক্ষণ ঘটায়, ঝড়ের দিনে তেমন অনুভূতি হতে পারে কিংবা হয়ে থাকে রক-মেটাল ভক্তদেরও। কারণ তখন প্রকৃতিও তো রক-মেটালের সুরের মতোই উন্মত্ত-উন্মাদ হয়ে ওঠে। রনি জেমস ডিও-র রক সাইন দেখানোর মতো ঝড় আগে আকাশ কালো করে নেয়। সবাইকে যেন ইঙ্গিত দেয়, প্রস্তুত হও, আমি আসছি তোমাদের উন্মাতাল করে তুলতে। তারপর গিটারে ঝড় তোলার মতো, স্টেজে ঝড় তোলার মতো, ঝড় ওঠে প্রকৃতিতে।

এই সব ঝড়ের দিনে শোনার মতো ঝোড়ো গানের অভাব কোনো রক-মেটাল ভক্তের সংলিস্টেই নেই। তবে তালিকাটা যদি কেবল বাংলা ঝড়-বৃষ্টির গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে আনা হয়, তখন স্বয়ং তালিকাটাই বেশ সংক্ষিপ্ত হয়ে পরে। তেমনি কিছু গানের একটা লিস্টি তাই তুলে দেয়া হলো আইস টুডের সেই সব পাঠকদের জন্য, যারা রকিং মেটালহেড, কালো যাদের প্রিয় রং।

বৃষ্টি এত জোরে এসো না (জেমস, অ্যালবাম- দীর্ঘশ্বাস)

বৃষ্টি (ওয়ারফেইজ, অ্যালবাম- আলো)

বৃষ্টি নেমেছে (ওয়ারফেইজ, অ্যালবাম- ওয়ারফেইজ)

হাজার বরষা রাত (সোলস, অ্যালবাম- ধুন)

এপিটাফ (অর্থহীন, অ্যালবাম- স্বপ্নচূড়া)

দুঃখ বিলাস (আর্টসেল, আনরিলিজড)

টিপ টিপ বৃষ্টি (শেখ ইশতিয়াক)

বরষা (শিরোনামহীন, অ্যালবাম- ইচ্ছে ঘুড়ি)

বৃষ্টি কাব্য (শিরোনামহীন, অ্যালবাম- শিরোনামহীন শিরোনামহীন)

বৃষ্টি (কোল্ড জে, অ্যালবাম- অনেক কাছে)