বাংলাদেশের শিল্পপ্রেমীদের সাথে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারতীয় মহাসাগর সংলগ্ন দেশসমূহের শিল্প ও স্থাপত্যের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় ‘ঢাকা আর্ট সামিট’। প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও যেখানে উপমহাদেশের সমসাময়িক শিল্পীদের কাজ প্রদর্শিত হয়, উপস্থাপিত হয় উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেকারণেই মাত্র ৩ আসর পার করেই ঢাকা আর্ট সামিট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি শিল্প প্রদর্শনীর স্থান, যেখানে সম্মেলন ঘটে পৃথিবীর নানা প্রান্তের শিল্পীদের।
আজ শুরু হচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিটের চতুর্থ আসর। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা প্রাঙ্গণে আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে সামিট চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই বছরের আর্ট সামিটে থাকছে দুইটি অংশ, ২- ৪ ফেব্রুয়ারি ওপেনিং সেলিব্রেশন উইকেন্ড এবং ৮-১০ ফেব্রুয়ারি ক্লোজিং স্কলার উইকেন্ড।
বিগত আসরগুলোর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকা আর্ট সামিটে এবারের প্রদর্শনী হবে ৯ দিন ধরে। পাশাপাশি এই প্রথমবার প্রদান করা হবে ‘সামদানি আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড’। ২০১২ সালে শুরু হওয়া সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের এবারের আসর নতুন এক রূপে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে দেশের শিল্পপ্রেমীদের সম্মুখে।
জাতীয় চিত্রশালায় এবারে প্রদর্শিত হবে মোট ১০টি কিউরেটিং শো, যেখানে থাকছে প্রায় ৩০০ জন শিল্পীর কাজ। প্রথমবারের মত অংশ নিচ্ছে ইরান ও তুরস্ক থেকে শিল্পী। প্রথম বছরে ‘সামদানি আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী মাকসুদুল করিমের নকশায় এবারের আসরে থাকছে একটি এডুকেশন প্যাভিলিয়ন। পাশাপাশি থাকছে সামদানি আর্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত শিল্পীদের কাজ, থাকছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সম্মিলিত প্রদর্শনী। ১৬টি প্যানেল ডিসকাশনে থাকছেন প্রায় ১২০জন বক্তা। যারা দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প ভাবনা, গতি প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আয়োজনে আরও থাকছে এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো শিল্প-প্রদর্শনী, শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা’ প্রদর্শনীর প্রথম দশ আসরের কাজের নমুনা ও ইতিহাসের স্মারক। শিল্প ও স্থাপত্যকে নতুন চোখে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য থাকছে বেশ কিছু আন্তঃবিষয়ক কর্মশালাও। পুরো প্রদর্শনীটি কিউরেট করবেন ডায়ানা ক্যাম্পবেল বেটানকোর্ট, যিনি একই সাথে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান শিল্প নির্দেশকও।
আর্ট সামিটের চতুর্থ আসরে সহযোগিতায় থাকছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।