মন মুকুরে মরমিয়া

মনের ভাব যখন ঠাঁই পায় বৃক্ষের শরীরে তখন সেখানে জন্ম নেয় নতুন আদল। যে আদলে মানব মনের ভাবাবেগ আর বৃক্ষের শারীরিক ভাষা মিলিয়ে জন্ম নেয় অন্য আরেক কাব্য। যেখানে স্বপ্ন লুকিয়ে থাকে,  যেন এই আদলে প্রকাশিত হয় মানব মরমিয়ার আখ্যান। যেন সেই আখ্যান হয়ে ওঠে এক সুন্দর দর্পণের প্রতিচ্ছবির। যেই প্রতিচ্ছবি গুলোর দেখা মিলেছিল গ্যালারী চিত্রকে। যেখানে মন মুকুরে মরমিয়া  শিরোনামে চলছে প্রদর্শনী, শিল্পী নাছির আহম্মদের।

ঐরাবতী

বসন্তে যখন জেগে ওঠে প্রকৃতি, যখন নতুন প্রানের সঞ্চার সাড়া দেয় মলিন শীতের প্রকট দাপট থেকে, সেই প্রকৃতিই অনপ্রেরণা শিল্পী নাছিরের। যেখান থেকে হাতে নিয়েছেন ভাস্কর্য নির্মাণের যত অনুষঙ্গ, তৈরি করেছেন কাঠের ভাস্কর্য। হ্যাঁ, শিল্পী তার ব্যক্তিগত ভালোলাগার জায়গা থেকে বেঁছে নিয়েছেন কাঠ। মৃত গাছের মাঝেই নতুন করে প্রাণের দেখা পেয়েছেন তিনি। শিল্পী নাছিরের তৈরী ভাস্কর্যগুলোর শিরোনামে তাই ঠাঁই পেয়েছে অনন্য সব নাম- শঙ্খমুকুর, আপ্রাণ, কিশলয়, কিংবা প্রাণমুকুর। দেয়ালে রয়েছে জলের মুকুর শিরোনামে সিরিজ জল রঙ, তুলির ছোঁয়া ভাষা পেয়েছে সেখানেও।

বৃক্ষমুকুর

একজন ভাস্কর হিসেবে শিল্পী নাছির যাত্রা করেছেন শিল্পের নানা মাধ্যমে। কিন্ত নিজের প্রথম একক প্রদর্শনীতে ফিরে এসেছেন তার চির ভালোলাগার মাধ্যম, কাঠ-এ। কাঠের ভাস্কর্য গুলো অবশ্য আজকের এই প্রদর্শনীকে ভেবে শুরু করেননি। ভালোবেসে কাঠের মাঝে নিজের চিন্তা প্রকাশ করতে শুরু করেন সেই অনেক বছর আগে। ২০০৪ সালে। সেখান থেকে জীবনের গতি প্রবাহ পেরিয়ে আজ এই প্রদর্শনী, সেই সময় থেকে আজকের সময়, সবটুকু মিলিয়ে আয়োজিত হয়েছে এই প্রদর্শনী।

১৫দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর। ঘুরে আসুন কোন এক সন্ধ্যায়।