গত ১৪ নভেম্বর শুরু হল বেঙ্গল বই-এর যাত্রা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান বেঙ্গল বইয়ের উন্মোচন করেন এই দ্বার। যদি বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার ইচ্ছে থাকে তবে চলে আসুন রাজধানীর লালমাটিয়ায়। মীনা বাজারের পাশের রাস্তাতেই চোখে পড়বে বেঙ্গল বই – এর এই নতুন জগতের সাথে।
শুধু বই কেনা-বেচা ছাড়াও মানুষের সাথে মানুষের ভাবের আদান প্রদান বিনিময়ের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করল বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই নতুন উদ্যোগ। গতকাল উদ্বোধনের পরই বেঙ্গল পাবলিকেশন্স প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সূচনা সংগীত পরিবেশন করে এক্সেল একাডেমির শিশু শিক্ষার্থীরা।
বেঙ্গল বইয়ের নিচতলায় রয়েছে চা-শিঙ্গাড়ার আয়োজন। সেখানে তরুণ-বৃদ্ধ সকলের জন্যই রয়েছে বসবার স্থান, রয়েছে বই বিনিময়ের সুযোগ। ভবনের দোতালায় রয়েছে বই কেনার সুযোগ। তিনতলার পরিসর সাজানো হয়েছে আকাশ-কুসুম নামে, যার পুরোটাই শিশুদের জন্য। যেখানে রয়েছে খেলাধুলার সুযোগ।
বাংলাদেশের ২৫টি ও ভারতে ১৫টি প্রকাশনার বই থাকছে বেঙ্গল বই য়ে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনের খোরাক মেটায় এমন প্রায় সকল প্রকার বইয়ের সন্ধান পাবেন আপনি, বেঙ্গল বইয়ে। তাই অপেক্ষা কেন? চলে আসুন বেঙ্গল বই – এ।
আগামী ১৮ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত সারাদিন ব্যাপী বেঙ্গল বই -এ থাকছে নানা আয়োজন। আরও তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে আগামী তিন দিনে। স্যাক্সোফোন পরিবেশনা থাকবে বুধবার সন্ধ্যায়। এছাড়াও থাকছে অগ্রজদের জন্য আয়োজন। ১৬ নভেম্বর থাকছে ফরিদা পারভীনের গলায় লালনের গান। শুক্রবার ১৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে ছোটদের জন্য জাদু ও চিত্রাংকন কর্মশালা । শেষ দিনের এক অংশে থাকছে ব্যাপ্টিস্ট চার্চ স্কুলের চার্চ স্কুলের দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবেশনায় গান।