ঠিক তেত্রিশ বছর আগের গল্প। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয়া এক কিশোরের অভ্যাস ছিল রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে নিজের দুই বন্ধুর সাথে চিৎকার করে গান গাওয়ার। তখন কি তিনি জানতেন, আর কয়েক বছরের মধ্যে তিনি এবং তার ব্যান্ড, বাংলা ব্যান্ডের সোনালী প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে!
হয়তো জানতেন, না হলে সংগীতে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই এতো মনের জোর কোথায় পেলেন তিনি? ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ফিরে গেলেন জন্মস্থান খুলনায়। সেখানে বাসার নিচে একটি খালি ফ্ল্যাটে হারমোনিয়াম ও অ্যাকুস্টিক গিটার দিয়ে টিপু শুরু করলেন বন্ধুর পথে এক সুরেলা যাত্রার। তিন দশকের বেশী সময় ধরে সে যাত্রা চলছে সগৌরবে।
বলছিলাম, বাংলা ব্যান্ড অবসকিওরের কথা। রিকশায় তিন বন্ধুর আড্ডা আর গান গাওয়ার কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, মনে আছে? সেই আড্ডার ত্রিরত্নের একজন ছিলেন সাইদ হাসান টিপু, আর অপর দু’জন হলেন মানাম আহমেদ (মাইলস্) এবং সংগীতানুরাগী সারেক। সারেকের ঢাকার মগবাজারের বাসা ছিলো এদের আড্ডার ঠেক আর নতুন কিছু করার তাগিদের পাওয়ার হাউজ। বন্ধু মানামের পরামর্শে টিপু গেলেন অডিশন দিতে রিকশা থেকে আরেকটু বড়দের দুনিয়ায়। সেখান থেকেই শুরু আমাদের গল্পের।
ওয়েলকাম টু দি হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া
১৯৮৪ সাল, জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইম তখন একজন ইংরেজি ভোকালিস্ট খুঁজছে। মানাম আহমেদের পরামর্শে চাইমের ইংলিশ ভোকলিস্ট হওয়ার জন্য টিপু টিএসসির মাঠে প্রথম অডিশন দেন আশিকুজ্জামান টুলুর কাছে। অডিশনে তিনি ঈগলসের বিখ্যাত গান ‘হোটেল ক্যালিফর্নিয়া’ কাভার করেছিলেন। এক গানেই বাজিমাত!
এরপরে টানা এক বছর চাইমে পারফর্ম করেছিলেন টিপু।
যাত্রা হলো শুরু
চাইমে বছরখানেক গাওয়ার পরে নিজেদের একটা ব্যান্ডের তাগিদ অনুভব করেন টিপু। ফিরে গেলেন খুলনায়। খুলনা থেকেই ১৯৮৫ সালের সালের ১৫ মার্চ বাংলার ব্যান্ডাকাশে জন্ম নিলো এক নতুন তারা যার নাম ‘অবসকিওর’। কালে কালে সেই ব্যান্ডটি পেরিয়ে এসেছে ৩২ বছর। অবসকিওরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন: সাইদ হাসান টিপু – ভোকাল, আজম বাবু – ড্রামস্, সোহেল আজিজ – কিবোর্ড, তুষার – গিটার, জন বালা – গিটার, মাসুদ – বেইজ গিটার।
অবসকিওর নাম যেভাবে এলো
অবসকিওরের নামকরণের গল্পটা বেশ মজার। ব্যান্ড যখন তৈরি করেন, তখন ব্যান্ড মেম্বারদেরকে কেউ সেভাবে চিনতো না। নিজেদেরকে তাদের মনে হতো ‘অস্পষ্ট’। সেই ধারণা থেকেই ব্যান্ডের নাম রাখা হয় ‘অবসকিওর’। তিন দশকের পরিক্রমায় সেই অস্পষ্ট বা অবসকিওরই অনেক ভিভিড হয়ে গিয়েছে।
অবসকিওরের সদস্য
ক্যামেরার সামনে সবসময় পাঁচ সদস্যকে দেখা গেলেও, অবসকিওরের সদস্য সংখ্যা আদপে ৬। নেপথ্যের আরেকজন হলেন, অবসকিওরের প্রতিষ্ঠাতা ড্রামার ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আজম বাবু। এছাড়া শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদও ব্যান্ডটির একজন অঘোষিত সদস্য ও স্বজন। বর্তমান লাইন আপ: টিপু – ভোকাল, শান্ত – গিটার, আজম বাবু – সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, শাওন – কি-বোর্ড, রাজু– বেইজ, রিংকু– ড্রামস।
প্রথম প্র্যাকটিস প্যাড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের পেছনে যে প্রভোস্টের বাসা, সেটির গ্যারেজই ছিলো অবসকিওরের প্র্যাকটিস প্যাড। গ্যারেজটিকে সাউন্ডপ্রুফ করে প্র্যাকটিস করতেন অবসকিওরের সদস্যরা। তৎকালীন প্রভোস্টের সন্তান অভীক এই সুযোগটা করে দিয়েছিলো ব্যান্ডকে।
প্রথম ইনস্ট্রুমেন্ট
শুরুতে ব্যান্ডটির নিজস্ব সম্বল বলতে ছিলো হারমোনিয়াম ও অ্যাকুস্টিক গিটার। পরে অন্যদের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে প্রথম দু’টি অ্যালবামের কাজ শেষ করে অবসকিওর। ১৯৮৯ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ব্যান্ডের বাদ্যযন্ত্র কেনা হয় এবং তৃতীয় অ্যালবাম ‘স্বপ্নচারিণী’-তে প্রথম নিজেদের ইনস্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে গান করে অবসকিওর।
প্রথম স্টেজ শো
১৯৮৭ সালে চট্টগ্রামে। এল.আর.বি’র আইয়ুব বাচ্চু সেটির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। প্রথম শোতে বাজিয়ে ১৩ হাজার টাকা পেয়েছিলো অবসকিওর।
নিজেদের গান
প্রথমে অবসকিওর চাইমের বাংলা গানগুলোই গাইতো। সারগাম রেকর্ডিং স্টুডিওর রেকর্ডার পান্না আজমের পরামর্শে অবসকিওর নিজেদের গান ও অ্যালবামের কাজে হাত দেয়। পান্না আজম অবসকিওরের প্রথম ড্রামার আজম বাবুর ভাই। ৩৫ -৩৬টি গান তৈরি হয়। এদের থেকেই প্রথম অ্যালবামের জন্য ১২টি গান সিলেক্ট করা হয়।
প্রথম অ্যালবাম
অবসকিওরের প্রথম অ্যালবামের নাম ‘অবসকিউর ভলিউম-১’। ১৯৮৬ সালে সারগাম স্টুডিও থেকে বেরিয়েছিলো অ্যালবামটি। অ্যালবামটির রেকর্ডিং ব্যয় ছিলো ১২ হাজার টাকা, যার পুরোটাই দিয়েছিলেন টিপুর বাবা। অবসকিওরের প্রথম অ্যালবামের গানগুলি আজও রয়েছে শ্রোতাদের মুখে মুখে। যার অন্যতম হলো ‘মাঝরাতে চাঁদ’, ‘ভণ্ড বাবা’, ’ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী’, ‘মমতায় চেয়ে থাকা’।
প্রথম উপার্জন
১৯৮৬ সালে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম থেকে অবসকিওর পেয়েছিলো ১২ হাজার টাকা। এরপরে ১৯৮৮ দ্বিতীয় অ্যালবাম থেকে ব্যান্ড আয় করে ৩ লাখ টাকা।
প্রথম রেকর্ডিং
প্রথম অ্যালবামটি রেকর্ড করতে অবসকিওরের সময় লেগেছিলো মাত্র ৩ দিন। সবক’টি গানের রেকর্ডিং হয়েছিলো রাতে। রেকর্ড করেছিলেন পান্না আজম। প্রথম রেকর্ডিং ব্যয় ছিলো ১২ হাজার টাকা।
প্রথম অ্যালবামের কাভার
সারগামের মালিক বাদল ভাই করেছিলেন কাভার ডিজাইন। দ্বিতীয় অ্যালবামের কাভারও উনারই করা।
স্মরণীয় কনসার্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগ ডেতে ১৯৮৯-১৯৯০ সালের দিকে। ওই দিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। মাঠভর্তি হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বৃষ্টিতে ভিজছে আর অবসকিওরের সাথে গাইছে, বৃষ্টি ও ভালোবাসায় টানা ২ ঘণ্টা ভিজেছে অবসকিওরও।
বৈচিত্র্য
১৯৯০ সালে ’স্বপ্নচারিণী’ অ্যালবামের ’তোমাকে চাই’ গানটিতে (অনেকে গানটিকে ’সানশাইন’ নামে চিনেন) গানে প্রথমবারের মতো দেশে অনেকটা দ্রুতলয়ের র্যাপ ধরণের গান নিয়ে আসে অবসকিওর। এছাড়া ২০০৬ সালে প্রকাশিত ‘অবসকিওর আনপ্লাগড’ অ্যালবামে ভিন্ন ধরণের অবসকিওরের স্বাদ পেয়েছেন শ্রোতারা।
বিরতি
ভাঙ্গন; ব্যান্ডে একটি নিয়মিত ঘটনা হলেও অবসকিওর কখনোই সেভাবে ভাঙ্গেনি, বরং নিয়মিত সদস্যের অনুপস্থিতিতে একটি শীতঘুম কাটিয়েছে। ব্যান্ডের নিয়মিত গিটারিস্টের উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমন এবং ভোকাল টিপুর দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ব্যান্ডের কার্যক্রম ছিলো বন্ধ। ২০০০ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এলেন ভোকাল ও দলনেতা টিপু। এসেই অবসকিওরের শীতঘুম কাটানোর উদ্যোগ নেন, এবং শীতঘুম কাটিয়ে ২০০১ সালে রিলিজ করেন অবসকিওরের কামব্যাক অ্যালবাম ‘ফেরাতে তোমায়’।
অবসকিওরের লিরিক
অবসকিওরের প্রথম তিনটি অ্যালবামের সবকটি গান সোহেল আলম চৌধুরী, এহসান মাহমুদ ও টিপুর লেখা। তৃতীয় অ্যালবাম স্বপ্নচারিণীর দীর্ঘবিরতির পরে ২০০৭ সালে বের হয় অবসকিওরের পঞ্চম অ্যালবাম ‘অপেক্ষায় থেকো’। এই অ্যালবামে থেকে উপরের তিনজনের বাইরে অন্যদের গান নেয়া শুরু করে ব্যান্ডটি। এসময় অবসকিওরের জন্য গান লিখেছেন জাহিদ, রবিউল ইসলাম জীবন, লুৎফর রহমান ও মোস্তফা মাহমুদ। শহীদকন্যা শাওন মাহমুদও গান লিখেছেন অবসকিওরের জন্য। ব্লগার অমি রহমান পিয়ালও গান লিখেছেন অবসকিওরের জন্য। ২০১৫ সালে প্রকাশিত মাঝরাতে চাঁদ অ্যালবামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘পিতা’ গানটি তার লেখা। অবসকিওরের সবচেয়ে কনিষ্ঠ লিরিসিস্ট তানজিল। তানজিলের লেখা গান ‘আজাদ’। ২০১৪ থেকে অবসকিওরের জন্য নিয়মিত গান লিখছেন ওপার বাংলার কবি অমিত গোস্বামীও।
সুর
এখন পর্যন্ত ব্যান্ডের ১১টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি অ্যালবামের প্রায় সব গানই ব্যান্ডের সদস্যদের সুর করা। তবে, ব্যান্ডটির পঞ্চম অ্যালবাম ‘অপেক্ষায় থেকো’- তে ‘তোমার পিছু ডাকা’ গানটি প্রিন্স মাহমুদ এবং ‘কেমন আছো’ গানটি চারুর সুর করা। পুরো তিন দশকে এই দু’টি গান বাদে আর সবগানই ব্যান্ডের নিজেদের সুর ও সংগীতায়োজনে করা।
বিষয়ভিত্তিক গান
অবসকিওরের প্রতিটি অ্যালবামেই অন্তত একটি বিষয়ভিত্তিক গান থাকে যেটিতে সামাজিক বা রাজনৈতিক মেসেজ থাকে। প্রথম অ্যালবামে ছিলো বন্যা, ভণ্ডবাবা, এরপরে আজাদ, দেশছাড় রাজাকার। অবসকিওরের আগামী অ্যালবামে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে একটি গান থাকছে যেটির নাম ’স্টপ জেনোসাইড’।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
২০০৭ সালের পর থেকে অবসকিওরের অ্যালবামগুলিতে একটি পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। এসময় থেকে অবসকিওরের গানে দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠে আসে। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অবসকিওরের সদস্যরা পুরো কৃতিত্ব দেয় শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদকে। ব্যক্তিজীবনে ব্যান্ডের ভোকাল সাইদ হাসান টিপু, শহীদ আলতাফ মাহমুদের জামাতা। এ বিষয়ে টিপু বলেন, ‘শহীদ পরিবারের সদস্য হওয়ার পর থেকে আমি মুক্তিযুদ্ধ এবং এর নানা উপাদানকে অন্যভাবে ও আরো কাছ থেকে দেখতে ও বুঝতে শুরু করি। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের গানে’।
অবসকিওরের ট্রিবিউট
অবসকিওরের প্রায় সব গানই টিপু গেয়েছেন। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলো ২০১৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। ঐ দিন অমর একুশে গানের সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদকে ট্রিবিউট দেয় অবসকিওর। শহীদ আলতাফ মাহমুদের সুর করা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি নতুন করে গায় অবসকিওর। অবসকিওরের সাথে কন্ঠ দেন আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ। গানটি পরবর্তীতে ’অবসকিওর ও বাংলাদেশ’ অ্যালবামে ঠাঁই পায়।
পুরস্কার
দর্শকরাই অবসকিওরের সবচেয়ে বড় শক্তি। দর্শকরাও প্রতিদান দিয়েছে ব্যান্ডটিকে। ২০১৫ সালে ‘আরটিভি ভিউয়ার’স চয়েজ’ পুরস্কার পায় অবসকিওর। এছাড়া, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে টানা দুইবার ’চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে ব্যান্ডটি।
কেন অবসকিওরের উদ্ভট জামাকাপড় পড়ে না, উদ্ভট মেকাপ করে না?
এক্ষেত্রে ব্যান্ডটি অনুপ্রেরণা পেয়েছে পিংক ফ্লয়েড ও ঈগলস থেকে। তাদের দেখেই অবসকিওরের সদস্যরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে, ভালো কন্ঠ আর মিউজিককে সম্বল করে শ্রোতাদের ভালবাসা আদায় করা যায়, পোশাক মুখ্য না। শ্রোতারাও তাদেরকে হতাশ করেননি।
অতিথি সদস্য
সোলসের পার্থ বড়ুয়া অতিথি গিটারিস্ট হিসেবে অবসকিওরে বাজিয়েছেন।
সামাজিক কার্যক্রম
বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সবসময় যুক্ত ছিলো ব্যান্ডটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিজয় উদযাপনসহ বিভিন্ন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ডাকে বহুবার বিনা পারিশ্রমিকে নিয়মিত পারফর্ম করেছে অবসকিওর।
পছন্দের ব্যান্ড
দেশের মধ্যে অবসকিওরের পছন্দের ব্যান্ড সোলস্। আর ভিনদেশী ব্যান্ডের মধ্যে পিংক ফ্লয়েড, ঈগলস, ডায়ার স্ট্রেট, স্করপিয়নস্।
কাট-কপি-পেস্ট
বত্রিশ বছরের জীবনে কখনোই বিদেশী কোন সুর কপি করেনি অবসকিওর। তবে তৃতীয় অ্যালবাম স্বপ্নচারিণীর কাভারটি ইন্টারনেট থেকে ধার করা হয়েছিলো।
দেশের বাইরে অবসকিওর
অবসকিওর দেশের বাইরে একবারই শো করেছে। সেটিও এবছর, অস্ট্রেলিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, ক্যানবেরা, নিউ ক্যাসেল এবং সিডনিতেও শো করে ব্যান্ডটি।
অ্যালবাম নিয়ে ভাবনা
এখন পর্যন্ত অবসকিওরের ১১টি অ্যালবাম বের হয়েছে। ২০১৩ থেকে পরপর চার বছর টানা চারটি অ্যালবাম এনেছে ব্যান্ডটি। অবসকিওরের ইচ্ছা আছে প্রতি বছরই একটা করে অ্যালবাম রিলিজ করা। ব্যান্ডের সদস্যরা আশাবাদী যে, আগামী এক মাসের মধ্যেই অবসকিওরের বারোতম অ্যালবাম ‘স্টপ জেনোসাইড’ রিলিজ পাবে।
অবসকিওরের অ্যালবামনামা
১) অবসকিউর ভলিউম ১- ১৯৮৬
২) অবসকিওর ভলিউম ২– ১৯৮৮
৩) স্বপ্নচারিণী– ১৯৯০
৪) ফেরাতে তোমায়- ২০০১
৫) অবসকিওর আনপ্লাগড- ২০০৬
৬) অপেক্ষায় থেকো- ২০০৭
৭) ইচ্ছের ডাকাডাকি- ২০০৯
৮) ফেরা– ২০১৩
৯) অবসকিওর ও বাংলাদেশ– ২০১৪
১০) মাঝরাতে চাঁদ- ২০১৫
১১) ক্র্যাক প্লাটুন – ২০১৬
অবসকিওরের সাবেক সদস্যবৃন্দ
তুষার– গিটার
জন– গিটার
সুমন পাটোয়ারি– গিটার
রিচার্ড– গিটার
মেহদি- গিটার
শান্তনু– গিটার
তানিম– বেইজ
মাসুদ –বেইজ
লিটন ডি কস্টা– ড্রামস
রাব্বানি– ড্রামস
শামীম– ড্রামস
সোহেল আজিজ: কি-বোর্ড (উনি একটি গানও গেয়েছেন অবসকিওরের)
বিনোদ– কিবোর্ড
ওয়েবসাইট: obscurebd.com
ইউটিউব চ্যানেল: www.youtube.com/channel/UCFhhY8HCrArNWVZUYvMOQZA
ফেইসবুক পেইজ: www.facebook.com/obscurebd