‘সুই ধাগা’ সিনেমায় প্রথমবারের মত জুটি হয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হলেন আনুশকা শর্মা এবং বরুণ ধাওয়ান। গ্ল্যামার ছাড়া ব্যতিক্রমী লুক নিয়ে নজর কেড়েছেন দুজনেই। সিনেমার প্রচারণায় দর্শকদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে আবারো হাজির হয়েছিলেন ট্রেইলার রিলিজের পূর্বেই। ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সব লোকজ সেলাই ও নকশা দিয়ে তাদের সিনেমার লগো তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমীভাবে। আর সেই লগোর পেছনের গল্প নিয়েই তারা হাজির হয়েছিলেন দর্শকদের সামনে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে শিল্পীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল ডিজাইনের স্টেনসিল। আর সেই স্টেনসিলের নকশাতেই নিজস্ব পদ্ধতিতে নকশা গড়েছেন তারা। যশরাজ ফিল্মসের এই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা জানিয়ে কাজ করেছেন ভারতের নানা অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় শিল্পীরা। অঞ্চল ভেদে এই নকশাগুলোর নামে যেমন ছিল ভিন্নতা তেমনি নকশাগুলো দেখতেও ছিল বৈচিত্রময়। দরজি দম্পতির সিনেমার গল্পে যুতসই প্রচারণার অংশ এখন এই হাতে বানানো লগো।
কোন কোন নকশায় লেখা হল সুই ধাগা সিনেমার নাম? লগো? চলুন জেনে নিই-
তামিল নাড়ুর নীলগিরিতে টোডা নৃগোষ্ঠীর বসবাস। প্রথমবারের মত এই টোডা শিল্পীরা তাদের নকশায় ঐতিহ্যবাহী শাল ছাড়া অন্য কিছুর জন্য নকশা বুনন করলেন। যারা কিনা লগোর গুরুত্ব কতখানি এটিই জানেননা।
কাশ্মীরের শাল তো পৃথিবীজুড়েই বিখ্যাত। এই শালের নকশার আদলেই নির্মিত হয়েছে সুই ধাগার নামও। বুননে করা এই সেলাইগুলোর নাম সোজনি ও কাশিদা।
আসামের স্থানীয় তাঁতে ও নিজস্ব সংগৃহীত সুতার কাপড় মুগায় বুনন করা হয়েছে লগো।
সমৃদ্ধ সংস্কৃতির রাজস্থান অঞ্চলের আরি, গোটাপাত্তি ও বানজারা নকশাও ঠাঁই পেয়েছে এই তালিকায়।
গুজরাটের রাবারি নকশা যেখানে লুকিয়ে থাকে নানা মোটিফ, আর তাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে যুক্ত হয় ছোট ছোট কাঁচের টুকরো। মোচি ভারাত বলে আরও একটি নকশাও রয়েছে এই লগো নকশার তালিকায়।
পশ্চিম বাংলার নকশী কাঁথায়্ সুই ধাগার নাম। যেই কাঁথা নিজেই ভাষা হয়ে ওঠে পল্লী রমনীর।
পাঞ্জাবের শাল, মাথার স্কার্ফ ও ওড়নার জন্য বিখ্যাত নকশা ফুলকাড়ি। ফুলেল নকশার বুননেই যার খ্যাতি।
উত্তর প্রদেশের ফুলপাত্তি এবং ওডিশার পিপলী নকশার দেখা পাবেন এই ভিডিও ক্লিপসে।
ভিডিও লিংক-
লগোর নিচে লেখা, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রমোশনটা খেয়াল করতে ভুলবেন না কিন্তু।