রাজপুত্রের বিয়ে। এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এই মুহুর্তে সকলের আগ্রহের মূল কেন্দ্রে রয়েছে রাজপরিবারের এই রাজপুত্রের রাজকীয় বিয়ে। তার উপর প্রিন্সেস ডায়ানার ছেলে বলে কথা। বিয়ে চলুক বিয়ের মত, আসুন জেনে নিই নতুন কিছু গল্প। হয়তো এগুলো আপনার এখনও অজানা রয়ে গেছে।
ব্রিটিশ রাজবধূদের সাদা পোশাক পড়ার চল কিন্তু চিরকাল ধরে চলে আসা ঐতিহ্য নয়। ১৮৪০ সালে প্রথম রাণী ভিক্টরিয়া সাদা পোশাক পড়েছিলেন। সেবারই প্রথম শোকের পোশাককে রাজ পরিবার বিয়ের পোশাক হিসেবে দেখে। আগে রাজ বধূরা নানা রঙের পোশাকে নিজেকে সাজাতেন। পরবর্তীতে সাদা রঙকেই তারা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেন।
প্রিন্সেস ডায়ানা বিয়ের শপথের সময় প্রিন্স চার্লসের নাম ভুল বলেছিলেন। যদিও সেটা তাৎক্ষণিক ভাবে কারোর নজরে পড়েনি।
কেট মিডেলটন তার বিয়েতে দুটি গাউন পড়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজের বিয়ের মেকআপ নিজেই করেছিলেন বলেও গুজব রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, রাজকুমারী এলিজাবেথের বিয়েতে রেশনের কাপড়ের পরিমাণ কম ছিলো। শতশত ব্রিটিশ জনগন নিজেদের রেশন কার্ড পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন রাজকুমারীর প্রাপ্য ২০০ কুপন পূরন করার জন্য। কিন্তু রাজ প্রাসাদ থেকে সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়।
রাণী ভিক্টোরিয়ার সময় থেকেই সব রাজবধূ সাদা অর্কিডের তোড়া এবং সাথে মেদি গাছের স্প্রিং তাদের হাতে রাখেন।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ে প্রথাগতভাবে সাপ্তাহিক কর্মদিবসের বাইরে কোন দিনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার সময়, ডায়ানা নিজের কবজিতে লাগাতে গিয়ে ভুলবশত নিজের সমস্ত গাউনে পারফিউম ছলকে ফেলছিলেন। পরে মেকআপ আর্টিস্টের সহায়তায় পারফিউমের দাগ লুকিয়ে পোশাকটি দর্শকদের সামনে ধরে রাখেন।
ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে প্রথম বিয়ে হয়েছিল ৯০০ বছর আগে। সর্বশেষ বিয়ে হয় ২০১১ সালে, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ে।
রেডিওর জন্য প্রচুর উন্মাদনা ছিলো ১৯২৩ এর দিকে, যখন তিনি এলিজাবেথ বোয়েস লিয়নকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে কোন সম্প্রচার রেডিওতে ছিলো না। কারণ, ক্যান্টারবুরির আর্চবিশপ চাননি এই বিয়ের খবর মানুষ বারে বসে শুনুক।