সিনেমার নাম ব্ল্যাক প্যান্থার। এবছরের হলিউডি বক্স অফিসের নিয়মিত হিসেব উল্টে দিয়েছে সুপারহিরো ঘরানার এই সিনেমা। তবে আজকের আলোচনার বিষয় তা নয়, সিনেমাটি যে ঠাঁই করে নিতে যাচ্ছে ইতিহাসে, ভিন্ন এক কারণে। ব্ল্যাক প্যান্থার প্রদর্শনের মাধ্যমেই সৌদি আরবে সাড়ে তিন দশক সময় জুড়ে এঁটে থাকা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উপরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে কি না! মার্ভেলের সুপারহিরো সিরিজের এই সিনেমার জমজমাট এক প্রদর্শন হতে চলেছে আগামী ১৮ এপ্রিল, রিয়াদের ব্র্যান্ড নিউ এএমসি থিয়েটারে।
এখন এএমসি থিয়েটারের একটু বর্ণনা না দিলেই নয়। বিলাসবহুল এই মুভি থিয়েটারের স্বপ্নদ্রষ্টা সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান, সৌদিদের দিনবদলের প্রচেষ্টারই নিদর্শন ৬০০ চামড়া মোড়ানো আসন, ঝাঁ চকচকে মার্বেল পাথরের রেস্টরুম, সিনেমা হলের চোখ ধাঁধানো পরিবেশ!
আশির দশকের গোড়ার দিকে সৌদি আরবের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। রক্ষণশীল ধর্মীয় আইন মেনে চলতেই ছিল এই ব্যবস্থা। কিছু মুভি স্ক্রিন নামকাওয়াস্তে টিকে থাকলেও তা একেবারেই উল্লেখযোগ্য কিছু না। ২০১৮’র শুরুর দিকে অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবে এমনই একটি থিয়েটারে দ্য ইমোজি সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল। কেবল এই এএমসি থিয়েটার নয়, আগামী ৫ বছরে দেশটিতে আরও ৪০টি সিনেমা হল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে মূল উদ্যোক্তা ডালিয়ান ওয়ান্ডা গ্রুপের। ২০৩০ সাল নাগাদ সংখ্যাটা ১০০ তে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে এই চাইনিজ কঙ্গলোমোরেট গ্রুপের। এই নতুন ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে সৌদি আরবে আগামী বছরগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার কর্মেরও নাকি সংস্থান হতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া ব্ল্যাক প্যান্থার এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যবসা করেছে। বক্স অফিস মোজোর সর্বকালের ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় ব্ল্যাক প্যান্থার এখন দশম অবস্থানে। সেই সঙ্গে, সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনে ঐতিহাসিক অবস্থান নিতে চলা নিসন্দেহে ছবিটির প্রাপ্তিকে দিতে চলেছে ভিন্ন এক মাত্রা।
ব্ল্যাক প্যান্থার ছবিটির অফিসিয়াল ট্রেইলার দেখতে পারেন এই লিংকে—
<iframe width=”560″ height=”315″ src=”https://www.youtube.com/embed/xjDjIWPwcPU” frameborder=”0″ allow=”autoplay; encrypted-media” allowfullscreen></iframe>