স্বপ্নজাল। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নতুন সিনেমা। আসছে ফেব্রুয়ারিতে। শুধু এই খবরটার জন্যই বাংলাদেশের অনেক সিনেমাপ্রেমী দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলো। ২০০৯ সালে এই পরিচালকের সর্বশেষ সিনেমা ‘মনপুরা’ কেড়ে নিয়েছিলো অনেকের মন। শহুরে বাংলা সিনেমাবিমুখ তরুণদেরও আবার হলে ফিরিয়ে এনেছিলো সিনেমাটি। এবারের স্বপ্নজাল কেমন হতে যাচ্ছে? মনপুরার চেয়েও বেশি কিছু কি প্রত্যাশা করা যায় এই সিনেমা থেকে?
ট্রেইলার ছাড়া আলোচনা করার জন্য আর তেমন কোন রসদের জোগান এখনো সিনেমার পরিচালক বা কলাকুশলী কেউই দেননি। সিনেমাটি আর যাই হোক, গতানুগতিক বাংলা সিনেমার প্রেমকাহিনী যে হচ্ছেনা তা ট্রেইলারেই বোঝা গেছে। তাই ট্রেইলারটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। ট্রেইলারে নবাগত নায়ক ইয়াশ রোহান ও পরীমণির নতুন জুটিকে দেখে দর্শককুলের পছন্দ না করার কোন কারণ নেই। তবে সিনেমাটিকে নায়কের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে গল্পটিকে একটা ‘জার্নি’ হিসেবেই চিন্তা করা যায়। ছবিতে ছবিতে নায়কের সেই নাটকীয় সফরটা একটু দেখে আসা যাক।
নায়কের প্রেমের সফরের শুরু। সিনেমাটোগ্রাফির মুনশিয়ানার সাথে মিষ্টি মিষ্টি প্রেম। সুন্দর লোকেশনে নতুন চেহারার পরীমণি ও নায়ক ইয়াশ রোহান।
কিন্তু গল্প কিছুদূর এগোতেই সফরের ‘ক্রাইসিস’র শুরু। পরিবারসহ নায়িকা চলে যায় অন্য কোথাও। বিদায়বেলার রোমান্টিক কথোপকথনের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই অনেকের মুখে মুখে।
’মনটাকে মোর বসতে দিও
মুড়ি মুড়কি খেতে দিও
জলের গ্লাস দেওয়ার ছলে
একটু শুধু ছুঁয়ে দিও।’
নায়িকার প্রস্থান।
নতুন ঠিকানায় নায়িকা।
পরীমণির খোঁজে ইয়াশের যাত্রা শুরু। প্রচুর বাঁধা-বিপত্তি তো থাকবেই সে যাত্রায়। নায়কও তাতে দমবে না। কাঁটাতারের ওপারে নায়িকার কাছে পৌঁছানোই যে একমাত্র লক্ষ্য তার।
নায়কের এই সফরের মূল ক্লাইমেক্সটা বোধহয় গল্পের এ পর্যায়েই। একদিকে পরীমণির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ইয়াশ কি পারবে বিয়ে ঠেকিয়ে পরীমণিকে নিজের করে নিতে?
এই দৃশ্যটি হয়ত হতে পারে সিনেমাটির শেষ দৃশ্য, হতে পারে আবার ইয়াশের কল্পনা। যা সম্পর্কে আমরা এখনো জানি না কিছুই। ট্রেইলার এর বেশি কিছু আমাদের দেয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত এই সফরে তাদের মিল হবে কিনা তা জানতে পুরো সিনেমাটির জন্য অপেক্ষা যে করতেই হবে।