রাজধানী ঢাকাতে দিন দিন বই পড়ুয়া মানুষদের সংখ্যার সাথে সাথে বাড়ছে বইয়ের বিকিকিনিও। নতুন নতুন বইয়ের দোকানে মিলে শহর ঢাকা এখন সরগরম। বুক ক্যাফে গোত্রের এ ধারার দোকানগুলোতে বই কেনার ব্যবস্থার পাশে আরাম করে বই পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এমনকি আছে হালকা নাশতা, চা-কফিরও। রাজধানীর এমন তিনটি সরগরম বইয়ের দোকান নিয়েই আজকের লেখা।
বেঙ্গল বই
গত বছর নভেম্বরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে যাত্রা শুরু করে বেঙ্গল বই। স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই শহরের বইপড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে গেছে জায়গাটি। চমৎকার স্থাপত্যশৈলী ও খোলামেলা পরিবেশ মন কেড়ে নিয়েছে সকল বয়সের গ্রন্থকীটের। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রকাশনার বই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। সংগ্রহের একটা বড় অংশজুড়ে ইংরেজি বইতো রয়েছেই। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে মিলবে শিল্পকলা, সাহিত্য, স্থাপত্যবিষয়ক বইও। দেশে প্রকাশিত যেকোনো বই ২০ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারবেন বইপোকারা। বইয়ের পাশাপাশি আছে লেখাপড়ায় সহায়ক নানা স্টেশনারী সামগ্রীও। বেঙ্গল বই-এ নিয়মিত পাঠচক্র, কবিতা পাঠের আসর, নতুন লেখা ও লেখকের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সভা, প্রকাশনা উৎসব, চিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন রয়েছে। রয়েছে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত এক অঞ্চলও।
দীপনপুর
গত বছরের মাঝ বরাবরই যাত্রা শুরু করে বুকশপ ক্যাফে দীপনপুর। রাজধানীর কাটাবন মোড়ে প্রায় তিন হাজার স্কয়ার ফুটের বিশাল পরিসরের এই বুকশপ ক্যাফে থেকে অনলাইনেও বই অর্ডারের সুযোগ রয়েছে। বই ছাড়াও সেখানে রয়েছে ‘দীপনতলা’ নামে একটি ছিমছাম অনুষ্ঠানস্থল। সুযোগ আছে সাহিত্য, কবিতা পাঠের আসর, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজনের। রয়েছে ‘ক্যাফে দীপাঞ্জলি’। চা, কফি কিংবা ফ্রেস জুস সহযোগে পড়তে পারবেন পছন্দের বইটিও। রয়েছে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নরাজ্য ‘দীপান্তর’। শিশুরা এ কর্ণারে পড়তে পারবে, আঁকতে পারবে। এমনকি পারবে খেলতেও।
বাতিঘর
মাত্র কদিন আগেই, গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় চালু হলো আরও একটি বুকশপ ‘বাতিঘর’। বইয়ের দোকান হিসেবে বাতিঘর অবশ্য একদমই নতুন নয়। চট্টগ্রামের বাতিঘর বহু বইপ্রেমীরই পছন্দের জায়গা। সেই বাতিঘরই এখন ঢাকায়! বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অষ্টম তলায় যাত্রা শুরু করেছে মুঘল স্থাপত্যের আদলে অন্দরসজ্জায় সাজানো বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল সম্ভার নিয়ে। বই কেনার পাশাপাশি এখানেও থাকছে বই পড়া এবং চা-কফি খাওয়ার সুযোগ।