চলে গেলেন বংশীবাদক। চলে গেলেন অসংখ্য মায়াভরা গান রেখে, অনেক আবেগের পসরা রেখে। ঘুমিয়ে থাকবেন বারী সিদ্দিকী, তার নেত্রকোনার ‘বাউল বাড়িত’ তে। গতকাল দিবাগত রাতে ত্যাগ করেছেন পৃথিবী মায়া।
বারী সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৪ সালে, এই নভেম্বরের ১৫ তারিখে। ১২ বছর বয়সে গুরু কাছে তালিম নেয়া শুরু করেছিলেন। সেখানেই শুরু সঙ্গীতের জগতে যাত্রা। এরপর আরও বিস্তৃত হয়েছে তার পরিধি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছেন ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের উপরেও। দক্ষতা ছিল বাঁশিতে। সেই বাঁশিতেই না মুগ্ধ হল দর্শকের মন। দর্শক? দীর্ঘদিনের পথ চলায় দর্শকের সামনে এসেছেন অনেক পড়ে। বাংলাদেশের আরেক নক্ষত্র হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে। প্রথম স্টেজ শো তারই সাথে। দর্শকের আরও কাছাকাছি আসেন ২০০০ সালে, হুমায়ুন আহমেদ নির্মিত শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিতে।
আমার গায়ে যত দু:খ সয়..
বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়
এমন অনেক আবেগী গান দিয়ে মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। জনপ্রিয়তা পায় শ্রাবণ মেঘের দিন সিনেমার আরও একটি গান, শুয়াচান পাখি…। এরপর শ্রোতার সাথে পথ চলা চলেছে স্নিগ্ধতার সাথে, বাঁশির আবেশে। হুমায়ুন আহমেদ যত দিন বেঁচে ছিলেন, তার আসরে বারী সিদ্দিকীর ডাক পড়তো প্রায়ই। বারী সিদ্দিকী তার গান গুলোকে সাজাতেন ক্লাসিক্যাল গান ও লোক সঙ্গীতের ধারায়।
সঙ্গীতাঙ্গনে পরবর্তী সময়ে মাত্র একটি একক অ্যালবামে কাজ করেছেন। বেশ কিছু মিশ্র অ্যালবামেও তার গান রয়েছে। সিনেমার সংগীত আয়োজন করেছেন একবার। বর্তমানে কাজ করছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
‘শুয়াচান পাখি’ গানটির কথায় কেঁদেছে অনেক আকূল প্রাণ। আজ তিনিই কাঁদিয়ে গেলেন সবাইকে।