বড়দের যদি হরেক রকম কাজের ব্যস্ততা থাকে তবে এই শহরে ছোটরা কিছু পিছিয়ে নেই। স্কুলের ভারী ব্যাগ ঠেলতে হয় রোজ। সেখানেই শেষ ভাবছেন? বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর বেশ জমিয়ে চলে আসে রোজকার পড়া আদায় করতে। ব্যস্ত বাবা-মায়ের সময়ের অভাবে হয়তো একটু ক্লাসের পড়া বুঝিয়ে নিতে কাউকে ছুটতে হয় কোচিং সেন্টারে।
এত কিছুর ভিড়ে শান্তি নেই এই আদরের ছানাদের। বরং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন রাগ এবং বিরক্তির ইমো যেন এদের মনেরই ছবি। দুরন্ত কৈশর-শৈশব! সেসব কেবল সপ্নে দেখবার মত ঘটনা, কোন এক স্বপ্নপুরীতে।
বেঙ্গল বই তাই বাচ্চাদের জন্যও প্রাণের স্থান হতে চলেছে সামনের দিন গুলিতে। সেই দিনের শুরুর দিনটি ছিল গতকাল শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর।
বেঙ্গল বই উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিন সকালবেলা ছিল শিশুদের নিয়ে ছবি আঁকার ওয়ার্কশপ। বাচ্চাদের উপস্থিতিও ছিল দারুণ। ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেছেন চিত্রী মুস্তাফিজুল হক।
শুধু ছবি এঁকেই শেষ নয়, কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর সমস্ত আয়োজন ছিল বেঙ্গল বই-এর এই আয়োজনে। তাই কর্মশালার পর শিশুদের সামনে মনোমুগ্ধকর জাদু পরিবেশন করেন জাদুকর উলফাৎ কবীর।
ছোটদের এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রী কনকচাঁপা চাকমা। তার উপস্থিতি বাচ্চাদের জন্য বাড়তি পাওনা বটে। অনুষ্ঠান শেষে শিশুদের হাতে বেঙ্গল বই এর পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
লালমাটিয়া ও ধানমণ্ডি এলাকার প্রতিবেশীদের জন্য সন্ধ্যায় এক প্রীতি সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সূচনা বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বিগত কার্যক্রমের উপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও দেখানো হয়। সর্বশেষে লোকগান পরিবেশন করেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী শফি মণ্ডল।
তাঁর সাথে বাঁশিতে ছিলেন রানা, হারমোনিয়ামে সাইদুর রহমান, ইউকিলেলে তে মুন্না, ঢোলে সুমন ও পারকাশনে সংগত করেন সোহেল।