বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। বাহনের সহজলভ্যতা এবং উন্নত সেবার কারণে ঢাকাতেও দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উবার সেবা। মোবাইল ফোনের অ্যাপভিত্তিক এই সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত গাড়ি শেয়ার করতে পারেন। যদিও বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবরও শোনা গেছে এরইমধ্যে। সম্ভবত সেকারণেই ক্রমাগত নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করে চলেছে উবার কর্তৃপক্ষ।
১. জরুরি ফোন নম্বর
আগস্টের ১ তারিখ থেকে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি নম্বর ৯৯৯ নিজেদের রাইডার অ্যাপে সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে উবার। এতে গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে যাত্রীরা অ্যাপের ভেতর ‘কল নাউ’ প্রেস করে বিনামূল্যে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ পরিচালিত জাতীয় হেল্প ডেস্কের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। জরুরি অবস্থার ধরন বুঝে যাত্রীরা ১ চেপে অ্যাম্বুলেন্স, ২ চেপে ফায়ার সার্ভিস, ৩ চেপে পুলিশের সহযোগিতা পেতে পারবেন বা ০ প্রেস করে সরকারি প্রতিনিধির সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
২. চালকের তথ্য
নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিতে উবার অ্যাপে আগে থেকেই চালকের নাম, ছবি, গাড়ির ধরন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখার সুযোগ আছে। যাত্রার পূর্বেই জেনে নেওয়া যাবে চালকের অবস্থান ও ধরণ। এক্ষেত্রে রেটিং দেখে অনুমান করা যাবে চালক ভালো না মন্দ। এই চালকের সঙ্গেই যাত্রা করবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে চালকের তথ্য।
৩. আপনার অবস্থান
উবারে যাত্রার সময় যাত্রীরা জিপিএস ট্র্যাকিং চালু করতে পারেন, এবং ‘শেয়ার মাই স্ট্যাটাস’ অপশন ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রার যাবতীয় তথ্য ইচ্ছানুযায়ী তাদের ফোনবুকে থাকা ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এর ফলে যারা অ্যাপের মাধ্যমে বার্তা পাবে তারাও যাত্রা চলাকালে যেকোনো সময়ে গাড়ি কোন রাস্তা ও স্থানে আছে তা নির্ণয় করতে পারবেন।
৪. চালকের মূল্যায়ন
একটি ট্রিপ শেষ হওয়ার পর সেটিতে রেটিং দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীরা অ্যাপের ‘পাস্ট ট্রিপ’ অংশে গিয়ে যাত্রার ব্যাপারে নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে পারবেন। এতে চালকের মূল্যায়নসহ চালকের আচরণ বিরূপ হলে তাকে রিপোর্টও করতে পারবেন। অ্যাপে যুক্ত হয়েছে ‘কাস্টমার সাপোর্ট’ অপশন যা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে ।
৫. বিজনেস অ্যাকাউন্ট
ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি সম্প্রতি বিজনেস অ্যাকাউন্টও চালু করেছে উবার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী একইসঙ্গে দুটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভ্রমণে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ভ্রমণে ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট থেকেই বিল দেওয়া যাবে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ঢাকায় উবার সেবা চালু হয়, এবং বাংলাদেশে চালক ও যাত্রী উভয়ের কাছেই এটি দারুন সাড়া পেয়েছে। এখন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উবার সার্ভিসের প্রথম থেকে শেষ অব্দি নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে কর্তৃপক্ষ। গাড়িতে ওঠার আগে, যাত্রার সময়টুকু এবং গন্তব্যে যাওয়ার পরও যাত্রীরা নিরাপত্তা পাবেন বলে নিজেদের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে উবার কর্তৃপক্ষ।