ডি-রক্সটার ব্যান্ড কম্পিটিশন ২০০৭। ফাইনাল রাউন্ডে পাওয়ারসার্জের পারফরম্যান্সের পর বিচারকের আসনে বসে সোলসের পার্থ বড়ুয়া বললেন,‘মেইন্সট্রিমের গানবাজনা করা পসিবল তোমাদের পক্ষে। তৈরি কর অ্যালবাম, বাংলাদেশের মানুষ তোমাদের গান শুনবে’। মাইলসের শাফিন আহমেদ বললেন, ‘ডি রকস্টার উইনার হও কি না হও ইওর টার্গেট শুড বি হাই’। ডি-রক্স্টারে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাওয়ারসার্জ। পরের বছরই নিজেদের প্রথম অ্যালবাম অপ্রস্তুত যুদ্ধ নিয়ে মেইনস্ট্রিমে চলে আসে পাওয়ারসার্জ। শুরু থেকেই প্রচুর সাড়া মেলে, জনপ্রিয়তা বাড়ে পাওয়ারসার্জের। একই সঙ্গে থ্র্যাশ মেটালেরও জনপ্রিয়তা বাড়ে সমগ্র বাংলাদেশে। সেই থেকে নিয়মিত কনসার্টে দেখা যায় এই ব্যান্ডকে। বাড়তে থাকে শো’র সংখ্যাও। গত কয়েক বছরে পাওয়ারসার্জ শো করেনি এমন মাস খুঁজে পাওয়া কঠিন। গত দুই বছরে তাদের মোট শো সংখ্যা ৪০! অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় দু’টি করে লাইভ কনসার্টে পারফর্ম করেছে পাওয়ারসার্জ। বাংলাদেশের ব্যান্ড হয়ে এখন পর্যন্ত এত অল্প সময়ে সবচেয়ে বেশি লাইভ কনসার্টে রেকর্ড তাদেরই। সে কথা নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডের রীফ গিটারিস্ট ও লিরিসিস্ট সাইমুম হাসান নাহিয়ানও।
দেখে নিন বিগত বছরে পাওয়ারসার্জের কিছু শো’র ভিডিও-
১। ডি রক্সটার-২ ফাইনাল রাউন্ডে পাওয়ারসার্জের পারফরম্যান্স ও বিচারকদের মন্তব্য
২। রক নেশনে পাওয়ারসার্জের অ্যাগ্রেসিভ প্লেয়িং
৩। বুয়েটে পাওয়ারসার্জের কনসার্ট
৪। গান বাংলা টেলিভিশনের পর্দায়
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটেরিয়াম ও আইবিএ অনুষদে কনসার্ট
৬। চট্টগ্রামে লাইভ কনসার্ট
৭। অগ্নিস্নান গানের অফিশিয়াল মিউজিক ভিডিও
৮। রাশান কালচারাল সেন্টার অডিটোরিয়ামে পাওয়ারসার্জ
ব্যান্ড প্রোফাইল:
শুরু: ২০০৬
অরিজিন: ঢাকা
ঘরানা: হেভি মেটাল, থ্র্যাশ মেটাল
অ্যালবাম: অপ্রস্তুত যুদ্ধ (২০০৮)।
মিক্সড অ্যালবামের গান: জ্যাকল ইন হাইড (রক ৭০৭), টেরর স্ক্রিম (রিওটাস ১৪), দুর্বোধ্য মনুষ্যত্ব (আন্ডারগ্রাউন্ড)
ইন্সট্রুমেন্টাল: এইক্স অব ওয়ার (রক ৫০৫)।
বর্তমান লাইনআপ:
জামশেদ চৌধুরী (ফ্রন্টম্যান), সাইমুম হাসান নাহিয়ান (রীফ গিটার, লিরিসিস্ট, কম্পোজার), সামির হাফিজ (লিড গিটার), কাউসার আহমেদ পারভেজ (বেজ), আসিফ মাহমুদ (ড্রামস)।