৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই আমাদের দেশ, দক্ষিণে যার সুন্দরবন!! চিত্রা হরিণ আর শ্বাসমূলের প্রাকৃতিক এই সবুজের দেওয়াল যা আমাদের বাঁচায় সিডর থেকে, আইলা থেকে। কেমন লাগে সেই বাদা যেখানে রাজত্ব করেন বনবিবি? বর্ষার মায়ায় কি হয় সে আরো মায়াবতী? এই ইটকাঠের শহরে কি তার দেখা মেলে?
শহরে চলছে সুন্দর সেই বনকে নিয়ে আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী। আজ-কাল-পরশু ঘুরে আসুন, দেখা হয়ে যাবে শহরের মাঝে চপলা চিত্রার সাথে, সুন্দরবনের সাথে।
কয়লা আর তেলের রাজনীতিতে সুন্দরবনের এই মায়াময় রূপ আর কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আবেগের তাড়নায় শিল্পীর রং-তুলি নিয়ে খেলা চলবে ক্যানভাসে, বাস্তব থেকেও খানিকটা বেশি কথা বলবে সেই ছবি। আজকের ডিএসএলআরের জামানায় অসংখ্য ক্লিকই তাই শেষ কথা নয়, বরং আরও অধিক প্রয়োজন স্বপ্নালু কিছু ক্যানভাস। যেখানে ছবি কথা বলবে তুলির ছোঁয়ায়।
দিনের প্রতি ক্ষণে রোদের খেলায় বারে বারে রং বদলায় সে বন। আসে জোয়ার, ভাঁটায় দেয় টান। চিত্রা হরিণের অবাধভূমি বাদার নান্দনিক সৌন্দর্য তুলে ধরার দায়ভার স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন শিল্পী অভি শঙ্কর আইন। সুন্দরবনের সবুজ প্রান্ত, গোলপাতার আনত জঙ্গল, চমকিত চিত্রার দল, শ্বাসমূল আর ভাটার টানে প্রাকৃতিক একান্ত নিজস্ব জমিনের সুন্দরবন থেকেই “ম্যানগ্রোভ পোর্টাল” প্রদর্শনীর চিন্তা করেছেন তিনি।
মার্কিন মুল্লুকে ষাটের দশকের মিনিমালিজমের যে ঢেউ উঠেছিল তাতে প্রাণিত হয়েছেন “ম্যানগ্রোভ পোর্টাল” এর শিল্পী। একসাথে, এবং দৃশ্যত অনেকগুলো ভাগে তিনি তুলে এনেছেন সবুজ-নীল আর কমলা রংয়ের অপরূপ এক স্রোতজ বনভূমি। উপযুক্ত ব্যবহার হয়েছে স্পেসের। মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন সমসাময়িক জনপ্রিয় মাধ্যম- এক্রেলিক।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো-তে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। শেষ দিন আগামী ১৯ জুলাই।
ছবিঃ শিল্পীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত