২৩ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে আয়নাবাজি টিমের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্র থেকে বানানো হবে একটা সাত পর্বের টিভি সিরিজ। নাম ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’। এই রীতি আমাদের দেশে নতুন হলেও, বৈশ্বিক ইন্ড্রাস্ট্রিতে বেশ পুরনো চল। ব্যবসাসফল অনেক সিনেমা নিয়েই পরে এমন টিভি সিরিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজগুলো মূলত চলচ্চিত্রটির গল্পের উপর ভিত্তি করেই নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রের মূল গল্পের প্রয়োজনে যে সব অপ্রধান গল্প থাকে, বা যে সমস্ত গল্পের খানিকটা ইঙ্গিত দেয়া থাকে, সাধারণত সেই গল্পগুলো নিয়েই নির্মাণ করা হয় টিভি সিরিজগুলো। সে অনুযায়ী এই ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’-এর গল্পগুলো কেমন হতে পারে, তার একটা অনুমান করা যেতে পারে।
সাংবাদিক সাবের হোসেনের ঘর ভাঙার গল্প
‘আয়নাবাজি’তে সাংবাদিক সাবের হোসেনের চরিত্রে অভিনয় করেন পার্থ বড়–য়া। আর তার সাবেক স্ত্রীর চরিত্রে বিজরী বরকতউল্লাহ। তাদের এক মেয়েও আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বনিবনা হয়নি। ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে ছাড়াছাড়ি হয়েছে, কীভাবে হয়েছে, তা বলা নেই সিনেমাটিতে। এই গল্প নিয়ে একটি পর্ব তাই হতেই পারে।
গাউসুলের মৃত্যু ও আরিফিন শুভর ক্যামিও
সাংবাদিক যখন হলিউড স্টুডিওর খোঁজ পায়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গিয়ে শোনে, গাউসুলকে খুন হয়েছে। কে করেছে কীভাবে করেছে, তা জানা যায় না। অবশ্য কে করেছে, দর্শকদের পক্ষে তা আন্দাজ করাটা খুব কঠিন নয়। কিন্তু সেই খুন কীভাবে হয়েছে, আরিফিন শুভর ক্যামিও চরিত্র এসি সাজ্জাদ আদৌ তার রহস্যভেদ করতে পেরেছি কিনা, তা নিয়েও হতে পারে একটি পর্ব।
পুরির দোকানদার মজনু উধাও
এলাকায় শরাফত করিম আয়নার একটা প্রিয় পুরির দোকান ছিল- মজনুর পুরির দোকান। কিন্তু এই দোকান যে স্রেফ পুরির দোকান ছিল না, তা বোঝা যায় যখন গাউসুলের মৃত্যুর সাথে সাথে এই দোকানও উঠে গেলে। আসলে কী হয়েছিল মজনুর, তা নিয়েও একটা পর্ব হতে পারে।
হলিউড স্টুডিওর ছেলেটা কোথায়?
‘আয়নাবাজি’র অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল শিশুশিল্পী শরীফুল। হলিউড স্টুডিওতে কাজ করা ছেলের চরিত্রে অভিনয় করে সে। কিন্তু গাউসুলের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হলিউড স্টুডিওর ইতি ঘটে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যায় চরিত্রটিও। এরপর কী হয়েছিল ওর? তাই নিয়ে হতে পারে একটি পর্ব।
নিজাম সাঈদ চৌধুরীর গল্প
আয়নার শেষ কাজ ছিল নিজাম সাঈদ চৌধুরীর হয়ে জেল খাটা। রায়ে ফাঁসি হয় তার। নিজাম সাঈদ চৌধুরীর হয়ে ফাঁসির অপেক্ষায় ছিল আয়না। অবশ্য অভিনয়ের জোরে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারে সে। কিন্তু তারপরে কি ধরা পরে নিজাম সাঈদ চৌধুরী? ফাঁসি কি হয় তার? তা নিয়েও হতে পারে একটি পর্ব।
আয়নার মায়ের গল্প
শুরু থেকেই আয়নাকে দেখা যায় ভীষণ মাতৃভক্ত হিসেবে। ফোনে নিয়মিত কথাও হয় তাদের। কিন্তু শেষে গিয়ে জানা যায়, তার মা বহু আগেই মারা গেছেন। যাত্রার অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই আয়নার অভিনেতা হয়ে ওঠা। কিন্তু এইটুকুই। পুরো গল্পটি জানা যায়নি। একটা পর্বে উঠে আসতে পারে সেই গল্পও।
লাবু মিয়ার গল্প
নিজাম সাঈদ চৌধুরীর হয়ে জেল খাটতে গিয়ে আরেকটু হলে ফাঁসিই হয়ে যাচ্ছিল আয়নার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে বের হয়ে আসে। অভিনয়ের মাধ্যমে প্রহরী লাবু মিয়াকে সম্মোহিত করে, আয়না তার সাথে চরিত্র বদল করে। তারপর লাবু মিয়া সেজে বেরিয়ে আসে বাইরে। ফাঁসির সেলে লাবু মিয়াকে আবিষ্কার করলে বাজানো হয় পাগলাঘণ্টা। তারপর বৃদ্ধ লাবু মিয়ার ভাগ্যে কী ঘটল, তা নিয়েও একটি পর্ব হতে পারে।