ভোজনরসিক বাঙালির ভরপেট খাওয়া-দাওয়ার জন্য উৎসব পার্বণের অজুহাত লাগে না। খাবার-দাবার হলেই, সময়টাকে উৎসবে পরিণত করতে বাঙালির পটুত্ব অবিসংবাদিত। বর্ষার বিদায়ক্ষণে শরতের আগমনে শহুরে প্রকৃতিও রঙ ছড়াচ্ছে সৌন্দর্যের। আর শরৎ যখন ছুঁই ছুঁই, নীলের আকাশ যখন শাদা কাশের বনে মৃদু মন্দ দোলা দিচ্ছে এমন সময়েই তো হবে জম্পেশ একটা উৎসব!
বাঙালির প্রিয় খাবার ভর্তাই তো হতে পারে উৎসবের প্রধানতম অনুসঙ্গ । বাংলার উৎসব, বাঙালির উৎসবে ভর্তার জায়গাটাও কম দাপটের নয়। নানা স্বাদের ও নানা পদের ভর্তা সবসময়েই বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
সবকিছুকে বিবেচনায় নিয়েই আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বর পাতুরি আয়োজন করতে চলেছে শরৎ-এর ভর্তা উৎসব ‘ভর্তা বিলাস’ বুফে । প্রায় ২৫টিরও বেশি ভর্তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছে পাতুরি কর্তৃপক্ষ। নানাবিধ ভর্তা-ব্যাঞ্জনের অন্যতম পদগুলি’র মধ্যে আছে বাদাম ভর্তা, তিল ভর্তা, নোনা ইলিশ ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা, চ্যাঁপা শুটকির ভর্তা, লইট্যা শুটকির ভর্তা, শুকনা মরিচ-পিয়াজ ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ডিম ভর্তা, কালিজিরা ভর্তা, কাঁঠাল বিচির ভর্তা, কচু ভর্তা, টমেটো ভর্তা, বেগুন ভর্তা, লাউপাতার ভর্তা, সরষে ভর্তা, ঝুরা গরুর মাংস ভর্তা এবং গরুর কলিজা ভর্তা।
সাপ্তাহিক ছুটির এই দুই দিনে লাঞ্চ টাইমে পাওয়া যাবে সব আইটেম। সাথে আরও আছে সাদা ভাত অথবা বউখুদি (আলাদা আলাদা দিনে), চাপড়ি, চিতই, মাসালা চিতই, সাজানো ডাল এবং সালাদ। ভর্তা বুফেতে জনপ্রতি খরচ পরবে মাত্র ৫৫০ টাকা করে। ৭৫০ টাকায় বাড়তি মিলবে চিকেন ঝালফ্রাই এবং ভাত ভাজাও।