লং লিভ দ্য ‌’কুইন’

গুগলে ‘Queen’ লিখে সার্চ করলে কখনো কোনদিন আপনি প্রথম পাতায় কোন কালের কোন রাণীকে খুঁজে পাবেন না। বরং দেখবেন Queen নামের একটি রক ব্যান্ড দখল করে নিয়েছে সেই জায়গাটি। ১৯৭০ সালে লন্ডনে জন্ম নেয়া কালজয়ী এই ব্যান্ডের গল্প নতুন করে বলার কিছু নেই- এমনটাই ভেবেছিলো সবাই। কিন্তু ‘থিওরি অব এভরিথিং’, ‘ডার্কেস্ট আওয়ার’ এর প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার অ্যান্থনি ম্যাককার্টেন ভাবলেন ঠিক উল্টোটা। ভাবলেন, এমন গল্প তো শুধু মানুষ শুনেছে, কখনো বড় পর্দায় দেখেনি। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম ‘বোহেমিয়ান র‍্যাপসোডি’ সিনেমার। যেই সিনেমার টিজার মাত্র ১ দিন পেরোনের আগেই ইউটিউবে কামিয়েছে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ভিউ!

‘Bohemian Rhapsody’ সিনেমার একটি দৃশ্য

আর তা না হবার কারণ নেই কোন। কুইন কে নিয়ে দর্শক ও শ্রোতামনে উদ্দামতা না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক। সিনেমাটির মূল গল্প কুইন ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যান ফ্রেডি মারকারির জীবনকে কেন্দ্র করেই। সিনেমাটিকে ফ্রেডি মারকারির উদ্দাম সফল জীবনের বায়োপিকও বলতে পারেন। তানজানিয়াতে জন্ম নিয়েছিলেন ফাররুখ বালসারা হিসেবে। কিন্তু এ নামটি টিকে নি। ব্রিটিশ দর্শকদের মন জয় করতে নাম পালটে ফ্রেডি মারকারি হয়ে যান তিনি। কিন্তু তা বোধহয় একদমই দরকার ছিলো না। থ্রি অকটেভ ভোকাল রেঞ্জ ও স্টেইজে তার সিগনেচার মুভ- সব মিলিয়ে তিনি ফাররুখ হয়ে থাকলেও যে দর্শকরা তার গলার সাথে নাচতে বাধ্য হতো তা নিয়ে আজ আর কোন সন্দেহ নেই।

সিনেমাটিতে ফ্রেডি মারকারির চরিত্রে আছেন আরেক পারসিয়ান চেহারার র‍্যামি মালেক। সিনেমাটির সঙ্গীতায়োজনে কুইন ব্যান্ডের ছাপ প্রবল থেকে প্রবলতর করার জন্য আছেন কুইন ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ব্রায়ান মে ও ড্রামার রজার টেইলর। টিজারের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরই এই দুই লিজেন্ডের উপস্থিতি দর্শকদের টের পাইয়ে দিয়েছে।

তবে সিনেমাটি নিয়ে জল ঘোলাও কম হয়নি। ২০১০ সালে শুরু হয় এই সিনেমার প্রোজেক্ট। প্রথমে সাচা বারন কোহেনের অভিনয় করার কথা ছিলো ফ্রেডি মারকারি চরিত্রে। কিন্তু ব্রায়ান মে এর সাথে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি ২০১৩ তে এই প্রোজেক্ট ছেড়ে চলে যান। তখন মি.রোবটের র‍্যামি মালেক-কে এই চরিত্রের জন্য নেয়া হয়।  পরিচালক হিসেবে প্রথমে ছিলেন এক্স মেন, ইউজুয়াল সাসসপেক্টস খ্যাত পরিচালক ব্রায়ান সিঙ্গার। কিন্তু স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে প্রচুর সময় নিচ্ছিলেন তিনি। পরে তার জায়গায় ‘এডিঃ দ্যা ঈগল’-এর পরিচালক ডেক্সটার ফ্লেচারকে নিয়ে আসা হয় সিনেমাটির কাজ শেষ করার জন্য। আসছে নভেম্বরের ২ তারিখ সিনেমাটি মুক্তি পাবে।

টিজারটি একবার দেখে নিন এখনিই।