মিষ্টি দেখলে কার না খেতে মন চায়। কিন্তু এই শহরে মিষ্টির সেই আদি-অকৃত্রিম স্বাদই কোথায় পাওয়া যায়! পোড়াবাড়ির চমচম, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুমিল্লার রসমালাই, মুক্তাগাছার মণ্ডা, … ; থাক, আর না বলি। ইতিমধ্যে অনেকেই হয়তো স্মৃতির পাতায় খুঁজতে শুরু করেছেন -এ সব মিষ্টি সর্বশেষ কবে মন ভরে খেয়েছেন। নগরের কর্মব্যস্ত জীবন ছেড়ে রোজ রোজ তো আর ওসব জায়গা যাওয়া যায় না। কিংবা এক জায়গা গেলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হরেক স্বাদের সব মিষ্টি তো আর একসঙ্গে খাওয়া সম্ভব নয়।
আগে সেটি অসম্ভব হলেও এখন থেকে সম্ভব। হ্যাঁ সম্ভব, এই ঢাকা মহানগরীতেই পাওয়া যাবে রাজধানীর ‘বাংলার মিষ্টি’-তে।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রসিদ্ধ সব মিষ্টান্ন নিয়ে ‘বাংলার মিষ্টি’ নামে নতুন আয়োজনের উদ্বোধন হয়ে গেল সোমবার। রাজধানীর গুলশানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অন্যান্য লোকজ কারুশিল্পীদের নিয়ে গর্ববোধ করলেও লোকায়ত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও নৈপুণ্যে ঋদ্ধ মিষ্টি শিল্প সম্পর্কে আমরা খুব একটা পরিস্কার ধারণা রাখি না। শতাব্দী প্রাচীন এই মিষ্টান্ন শিল্প সম্পর্কে বোঝাপড়া বাড়ানো এবং অতি অবশ্যই স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে ‘বাংলার মিষ্টি’ একই ছাদের তলায় বিভিন্ন অঞ্চলের মিষ্টির এই বৈচিত্রকে একত্রে করার উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান পদের মিষ্টির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিরা ঘুরে ঘুরে মিষ্টির ইতিহাস বিষয়ে ধারণা নেন; আর পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে উপভোগ করেন, ‘বাংলার মিষ্টি’র সেই স্বাদ।