বাংলা সিনেমার যত ডিভোর্স!

অপু-শাকিবের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর এখন সিনেমা মহলের সবচেয়ে মুখরোচক আলোচনা গুলোর একটি। আর হবেই বা না কেন? এবছরের এপ্রিলেই পুরো বাংলাদেশ মাত্র আবিষ্কার করলো যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস বিবাহিত। তাদের আছে এক ফুটফুটে সন্তানও। টিভি লাইভে কান্নাকাটির হল্লাহাটিও কম বিনোদন যোগায়নি। সেই পারিবারিক দুর্যোগের মিমাংসা হলো মাত্র সেদিনই। কিন্তু কিসের মীমাংসা? বছরটাও শেষ হতে পারলো না। ডিভোর্সটা হয়েই গেলো। যুগে যুগে যখনই সিনেমা জগতের কারো বিচ্ছেদের গল্প শোনা গেছে, দর্শক-ভক্তরা তা লুফে নিয়েছে। আর বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এ খুব নতুন কোন বিষয় নয়। আরো অনেক সিনেমা দম্পত্তি আগেও ছিলেন, যাদের বিচ্ছেদের ইতিহাস মানুষের মুখে ঘুরেছে গল্প হয়ে। সেরকম ৩টি দম্পত্তি নিয়েই আজকের লেখা।

. সোহেল চৌধুরী-দিতি

সোহেল চৌধুরী-দিতির পরিবার

১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেন নতুন এক ছবির কাজ হাতে নেন। পাঞ্জাবী লোককাহিনী অবলম্বনে ‘হীরামতি’ নামের সিনেমায় কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে তিনি সোহেল চৌধুরী ও দিতিকে নেন। তখনো তারা একদম নতুন মুখ। ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে নামে’ একটি মেধা অনুসন্ধানমূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এফডিসি থেকে। সিনেমা জগতে দুজনের পদার্পন এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই। পরিচয়টা তাই আগে থেকেই ছিলো। আর ‘হীরামতি’ সিনেমা করতে গিয়ে পরিচয়টা প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। সেবছরই বিয়ে করেন তারা। এই দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরী ও দ্বিতীয় সন্তান দীপ্ত চৌধুরী। তবে বিয়েটা খুব বেশিদিন টিকেনি। ১৯৯৮-এ সোহেল চৌধুরী বনানী ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

. হুমায়ুন ফরিদী-সুবর্ণা মুস্তাফা

হুমায়ূন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফা

বাংলা সিনেমা জগতের আরেক বিখ্যাত দম্পতি ছিলেন ফরিদী-সুবর্ণা। অন্যান্য বিচ্ছেদের মতো খুব তাড়াতাড়ি হয়নি তাদের বিচ্ছেদ। দীর্ঘ ২২ বছর একত্রে সংসার করার পর ২০০৮ সালে ডিভোর্স হয় তাদের। ৮০’এর দশকে দুজনেই ছিলেন বাংলাদেশের সিনেমা, নাটক, থিয়েটার সবধারার মধ্যমণি। অসাধারণ অভিনয় ছিলো দুজনেরই ট্রেডমার্ক। অভিনয় করতে করতেই পরিচয়, পরবর্তীতে বিয়ে। বিচ্ছেদের পর সুবর্ণা মুস্তাফা আবার বিয়ে করলেও, ফরিদী আর সেমুখো হননি।

৩. সোহানা সাবা-আহমেদ পারভেজ মুরাদ

সোহানা সাবা ও মুরাদের পরিবার

২০১০ সালে বিয়ে হয় এই দম্পতির। বিয়ের বছরখানেক পর মিডিয়ার কাছে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা ফাঁস করেন তারা। মাত্র ৩ মাসের প্রেমেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। বিয়ের ৪ বছর পর এক পুত্র সন্তানও আসে তাদের পরিবারে। কিন্তু ২০১৬-তেই সোহানা সাবা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন।