নারীর প্রতি সহিংসতার রোধে প্রচারণায় ইউএসএআইডি

ইউএসএআডি বাংলাদেশ এবার নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে শুরু করেছে সচেতনতা মূলক প্রচারণা।  সেই লক্ষ্যেই ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। যেখানে সুযোগ রয়েছে আপনারও, এম্বাসেডর ফর চেঞ্জ খেতাব পাওয়ার।

ইউএসএআইডি বাংলাদেশ – এর এই প্রচারণা মূলক ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন ৬টি দেশের বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ও এমপি শিরিন শারমিন চৌধুরী  এবং বাংলাদেশে পুলিশের অতিরিক্ত পরিদর্শক রওশন সাদিয়া আফরোজ । আহ্বান করেছেন কাছের মানুষকে নির্যাতনের হাত থেকে মুক্ত করতে,  ১০৯ এ ফোন দিয়ে সাহায্য চাইতে। এই হেল্পলাইনের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১২ সালে।

বিশ্বের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী তার জীবদ্দশায় সহিংসতার শিকার হন।  নারীর প্রতি তথা জেন্ডার ভিত্তিক সংহিংসতা প্রতিরোধে  প্রতি বছর নভেম্বরের ২৫ থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনের একটি কর্মসূচী পালন করে ইউএসএআইডি। তারই প্রেক্ষিতে মুক্তি দেয়া হয় এই ভিডিওটি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা’র (ইউএসএআইডি) উদ্যোগে চলতি বছরের কর্মসূচিতে একাত্নতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানগণ। তাদের মাঝে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্শিয়া বার্নিকাট, নেদারল্যান্ডের লিওনি মারগারেথা কুলেনারে, যুক্তরাজ্যের এলিসন ব্লেইক, থাইল্যান্ডের পামপিমন সুয়ানাপোনে, অস্ট্রেলিয়ার জুলিয়া নিব্লেট, ডেনমার্কের মিকায়েল হেমনিতি উইনথার, নরওয়ের সিডসেল ব্লেকেন, সুইজারল্যান্ডের রেনে হোলেস্টাইন, সুইডেনের শারলোটা স্লাইটার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রেনশে টিয়েরিনক, কানাডার বেনওয়া ফরটেইন, ব্রাজিলের জাও তাবাইয়ারা দে ওলেভেরা, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ইওরি কাতো, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের শোকো ইশকাওয়া, ইউএসএআইডি’র ইয়ানিনা জারুযেলস্কি, এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ক্রিস্টা রাডার।

তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন সেই সকল নারী, মেয়ে ও বন্ধুদের পাশে যারা সাহসের সঙ্গে হয়রানি, ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। তারা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তাদের সাথেও যাদের সোচ্চার প্রতিবাদের সুযোগ নেই, যারা লজ্জিত কিংবা নীরবে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। ইউএসএআইডির এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতার হার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬০০ এর বেশি ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ সহিংস ঘটনা ঘটেছে যেসব অনধিভূক্ত রয়ে গেছে। যেখানে বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের  হয়রানির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ৭৬ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীও হয়রানির শিকার হয়।

এই ভিডিও বার্তায় তৃতীয় লিঙ্গের জন্মগত ও মানবিক অধিকার রক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর প্রতি তথা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকলকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূতগণ।