‘পৃথিবীতে নেই কোনো কোনো বিশুদ্ধ চাকরি’- এমন কথা হয়ত কর্মজীবনের হতাশা থেকেই জন্ম নেওয়া। শহুরে জীবনের প্রেশারে এমনিতেই জেরবার দশা, আর সঙ্গে ‘ইয়ারলি’ বা ‘ফেস্টিভ্যাল’ কাঠামোয় থাকুক আর না থাকুক, ‘ডেইলি বোনাস’ হিসেবে অফিসের ঝুটঝামেলা অনেকেরই জোটে। এর মধ্যে আবার বস যদি হন ‘পেইনফুল’, ‘আরে আমার বস পুরাই একটা যা তা’- তাহলে আপনার জন্য সমবেদনা, আবার অভিনন্দনও! আজকের জন্য না হলেও, ভবিষ্যতের জন্য এই ‘বস’ অবশ্য আপনাকে দারুণ কিছু বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে পারেন, এই ‘পেইন’ দেওয়ার মাধ্যমেই। এখন আপনার ওপরেই নির্ভর করছে, কতটুকু ‘নিতে’ পারবেন!
ধৈর্য্য পরীক্ষায় প্রথম
সব কাজ হয়ে যাওয়ার পর, ‘উহু, এটা তো ঠিকমতো হয়নি, আবার নতুন করে তৈরি করে প্রিন্ট নিয়ে আসুন’- এই ধরনের নিয়মিত আদেশগুলো এক সময় আপনাকে দক্ষ টেস্ট ব্যাটসম্যানের মতো ধৈর্য্যশীল করে তুলবেই তুলবে।
বাড়বে জানাশোনা!
‘এটা তো নিশ্চয়ই জানেন’ বা ‘এই জিনিসটাও জানেন না’ বলার অভ্যেস যদি আপনার বসের থাকে, তাহলে আপনার দিনকে দিন পণ্ডিত হয়ে ওঠা আর কেউ ঠেকাতে পারবে না! বসকে সামাল দিতে হলেও যে কোনো বিষয় নিয়ে আপনি নিয়মিত সামগ্রিকভাবে জানার চেষ্টা করবেন (চিন্তা কী, গুগল আছে না!)
সময়জ্ঞান
‘রাতে ঘুম হয়নি’, ‘শরীরটা একটু খারাপ’, ‘রাস্তায় জ্যাম, রিকশা-গাড়ি-সিএনজি কিছুই পাচ্ছিলাম না’ ইত্যাদি টাইপের ‘এক্সকিউজ’ আর যার কাছেই হোক, ‘ব্যাড’ বসের কাছে তো কোনো অবস্থাতেই খাটবে না! কাজেই তার কাছ থেকে নিরাপদ থাকতে হলে আপনাকে টাইম ম্যানেজমেন্টে নিজের অজান্তেই দারুণভাবে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। আর হ্যা, এতে ভবিষ্যতে আপনারই লাভ বেশি!
আত্মবিশ্বাস
আপনার যে কোনো কাজ অবশ্যই অনেকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ‘পাশ’ করে। এ কারণে, ক্রমাগত চর্চার পর এক সময় টের পাবেন, নিজের কাজ নিয়ে আপনি খুবই কনফিডেন্ট হয়ে উঠেছেন। ঐ ‘ব্যাড’ বসের ধারাবাহিক নজরদারিতে থাকতে থাকতে আর ডেইলি পরীক্ষায় পাশ করতে করতে এখন আপনার কাজে ভুলচুকের কোনো চিহ্নই থাকে না!
ভবিষ্যতের বস
আজকের ‘এই’ আপনারও তো একদিন বস হয়ে ওঠার চান্স আছে, নয় কি! আপনার ‘পেইনফুল’ বসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কিন্তু সেই পথে হাঁটার সেরা রসদ জোগাবে। বিষয়টা এমন নয় যে আপনিও ‘পেইনফুল’ হয়ে উঠবেন অন্যদের জন্য, তবে অতীতের অভিজ্ঞতা আপনাকে নিজের কাজে দক্ষতার পাশাপাশি অন্যকেও দক্ষ করে তোলার পথ বাতলে দেবে। ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’ কথাটার দাম রাখতে হবে তো!