২০১৩ সালের পর আবারো সিনেমা নির্মাণ করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অন্যতম প্রধান চরিত্রে তিশা! বেশ সাড়া জাগানোর মত খবর হতে এতটুকুই সম্ভবত যথেষ্ট ছিল। সেখানে প্রথম একটুখানি ঘি ঢাললেন পরিচালক নিজেই। প্রথমবারের মত বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন ইরফান খান!!
হ্যা, এভাবেই প্রথম আলোচনায় আসে ‘ডুব’। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার মাঠে পা রেখেছেন ফারুকী এভাবেই। আর প্রযোজকদের দলে রয়েছেন কিনা ইরফান খান নিজেও। নিজের দশম আন্তর্জাতিক সিনেমা হিসেবে ‘ডুব’ এ অভিনয় করেছেন তিনি। চমকের শেষ সেখানেই নয়। হাল আমলে ভারতীয় বাংলা সিনেমার আরেক জনপ্রিয় তারকা অভিনেত্রী পার্নো মিত্র থাকছেন এই সিনেমায়। সাথে আরও থাকছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
এই যখন সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের লিস্টি, তখন ডুব আবারো আলোচনায় আসে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে। সম্ভবত বাংলাদেশে এর আগে কোন সিনেমার মুক্তির আগেই সেটিকে নিয়ে এত আলোচনা তৈরি হয়নি যতটা হয়েছে ডুবের বেলায়। পহেলা বৈশাখে মুক্তির জন্য সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় যত বিতর্কের। বাংলার জনপ্রিয়তম সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের আপত্তির মুখে সেন্সর বোর্ডে দীর্ঘদিন আটকে থাকে সিনেমাটি। তবে এই সময়ে কিন্তু কিছু আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছে ‘ডুব’।
যেহেতু ফারুকীর হাতেই এদেশের চলচ্চিত্রের বেশ সাড়া জাগানো কিছু সিনেমার আবির্ভাব হয়েছে, তাই ডুব বাংলাদেশের সিনেমায় আরো একটি অসম্ভব আলোচিত সিনেমা হতে চলেছে- এটুকু নিশ্চিত। অন্তত সিনেমার ট্রেলার, ট্রেলারের জন্য দর্শকদের অধীর প্রতীক্ষা, পোস্টার নিয়ে মাতামাতি সব কিছু মিলিয়ে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগামী একমাস সিনেমাটির অপেক্ষায় থাকা দর্শককে দিতে হবে চরম ধৈর্য্যের আরও একটি পরীক্ষা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ডুবের ট্রেলার: