আড়ং শারদীয়া

সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে আজ শুভ মহালয়া। শরতের সার্বজনীন উৎসবের অপেক্ষার ঘটেছে অবসান। স্বস্তির প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছে কাশফুল। পূজোর প্রস্তুতিও শেষ, কেনাকাটার সবটুকু মেলাতে এবারো আড়ং সাজিয়েছে তাদের পোশাকের পশরা। ঝকঝকে নতুন সাজে, দুর্দান্ত নতুন নকশায়।

বাংলাদেশের নাগরিক উৎসবের দেশী ধাঁচের পোশাকের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা আড়ং প্রায় চার দশক ধরে প্রতিটি উৎসবকে ঘিরে প্রস্তুত করেছে নিজেদের ধারাবাহিক সব আয়োজনের। উৎসবকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে বাংলায় তাদের পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবারেই তাদের আয়োজনেও থাকে নতুনত্ব। এবছর দুর্গা পূজাতেও বজায় রয়েছে সেই ধারা।

আড়ংয়ের এবছরের পূজোর পোশাকের নকশায় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে আদিবাসী লোকশিল্পের অনুষঙ্গ। সেজন্য তাদের ডিজাইনাররা বেছে নিয়েছেন চিরায়িত আদিবাসীদের গৃহ আলপনার নকশাকে। আদিবাসীদের মাটির ঘরে যার দেখা মেলে হরহামেশাই। সাথে বাংলার প্রচলিত চিরায়ত নকশা-মোটিফ আর আল্পনার ধাঁচ তো থাকছেই।

পূজোর পোশাকে ‘সাদা-লাল’-এর উপস্থিতি অনিবার্য। আড়ং তাদের নকশায় যোগ করেছে নীল-সবুজ-হলুদও, যে রঙগুলো প্রায় সকলের পছন্দ হলেও পূজোর পোশাকে নতুন বটে। চেনা ফ্লোরাল মোটিফ নিয়ে সাথে থাকছে চিরায়ত কাতান শাড়ি আর জামদানি। তাই মেয়েদের পোশাক বৈচিত্র্যে দারুণ জমজমাট।

ছেলেদের ধুতি-কূর্তা-কটি এসবেও যুক্ত হয়েছে আল্পনার মোটিফ। মেয়েদের কুর্তা-সালয়ার কামিজেও থাকছে উৎসবের আমেজে নকশার মিশেল। সুতরাং আড়ংয়ের সব পোশাকেই থাকছে পূজার আমেজ। আলপনার লোকজ ধাঁচ ও নকশায় এবার পূজোয় বেশ আমেজী সাজ-পোশাকে নিয়ে আপনাকে সাজাতে আড়ং তৈরি। এখন আউটলেটে শুধু আপনার রাঙা চরণখানি পড়বার অপেক্ষা।

ছবি সৌজন্যে ঃ আড়ং ফেসবুক