আপনার একদম ছোটবেলার যে বন্ধুটি, ওর সাথে পরিচয় আসলে কবে—এই উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। এতই ছোট ছিলেন তখন, সখ্যতা কিভাবে গড়েছে বা গড়বে; তার হিসেব বুঝতেন না। কিংবা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুটি! চট করে আড্ডায় বা সময়ের প্রয়োজনের তার আর আপনার এতটা কাছের হয়ে যাওয়া। অথচ এমনই বন্ধু বা বন্ধুদের সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটে আমাদের। কেমন করে যেন দূরে সরে যাই আমরা অনেক সময়েই। আর এই ব্যবধানের পেছনে থাকে কিছু কথা।
সময় এখন ভীষণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার চাপে বন্ধুত্বের দরকারি ফর্মালিটিগুলোও দিনকে দিন যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে, উঠবে। ল্যান্ডফোনের যুগ পেরিয়ে যখন সেলফোন এলো, তখন জন্মদিনে কে কে এসএমএস দেয়নি; তাও বোঝা যেত চট করে। আর এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ভাইবার, ইমো, মেসেঞ্জার আরও কত কি। ‘উইশ’ তো করলেই হলো। তাও সময়ে সময়ে সেটাও নজর এড়িয়ে যায়। এগুলো কি নেহাতই খেয়াল না করা? নাকি কিছু কারণ থেকে যায়, যার কারণে আমরা সময়ের ব্যবধানে এড়িয়ে কিংবা পেরিয়ে যাই আমাদের সম্পর্কগুলো?
অনেক সময়েই বন্ধুতার সম্পর্কে এই না বলা কথাগুলো চমৎকার কিছু শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছে ভারতের অনলাইন স্টোরিটেলিং প্ল্যাটফর্ম ‘টেরিবলি টিনি টেলস’। গল্পগুলো খুব ছোট, কিন্তু ভীষণ প্রাসঙ্গিক। কাছের মানুষগুলোকে আমরা সময়ে সময়ে কারণে-অকারণে বুঝে উঠতে পারি না, কিংবা বোঝাতে পারি না। আর এই ব্যবধানে কিংবা কারণের মাঝে জমে থাকা কিছু না বলা কথা। ‘আনসেইড’ সিরিজের ৫টি শর্টফিল্মে ‘আনফ্রেন্ড’, ‘ফোন’, ‘বিজি’, ‘সাইকেল’ এবং ‘ফুল’ শিরোনামে ৫টি শর্টফিল্ম রয়েছে; যার প্রত্যেকটিরই গল্প এই না-বলা কথাগুলো নিয়ে। সামান্য সময় করে দেখে নিতে পারেন।
আর হ্যাঁ, প্রিয় বন্ধুটিকে মিস করলে তাকে কখনো জানাতে ভুলবেন না।
‘আনফ্রেন্ড’ ছবিটির ইউটিউব লিংক-
‘ফোন’ ছবিটির ইউটিউব লিংক-
‘বিজি’ ছবিটির ইউটিউব লিংক-
‘সাইকেল’ ছবিটির ইউটিউব লিংক-
‘ফুল’ ছবিটির ইউটিউব লিংক-