রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর “সুনাদ”। বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নবীন ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগঠিত বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ে উপমহাদেশের গুণী সংগীতগুরু ও শিক্ষকদের সযত্ন দীক্ষা ও শিক্ষা গ্রহণ করে পরম্পরার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সংগীতের অনুকূল আবহ ও অনুরাগ তৈরি হয়েছে। এ সব শিক্ষার্থীর খেয়াল ও ধ্রুপদ পরিবেশন এবং সরোদ, সেতার, তবলা ও এসরাজ বাদন নিয়ে নিয়মিত আয়োজন ‘সুনাদ’-এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৭ ও ১৮সেপ্টেম্বর।
দ্বিতীয় ও শেষ দিনের দলীয় সেতার রাগ- বেহাগ বাদনের মাধ্যমে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের পরিবেশনা শুরু করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ মন্ডল, জ্যোতি ব্যানার্জী, জাহাঙ্গীর আলম শ্রাবণ, মোহাম্মদ কাওসার, সোহিনী মজুমদার, সামিন ইয়াসার ইফতি এবং সুব্রত বিশ্বাস । তাঁদের সাথে তবলায় ছিল সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী প্রশান্ত ভৌমিক এবং সুপান্থ মজুমদার।
এরপরেই সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ হুসনা আহম্মাদী পরিবেশন করেন রাগ-মুলতানী। কানিজ হুসনার সাথে ছিলেন সংগীতালয়ের তবলার শিক্ষার্থী প্রশান্ত ভৌমিক আর হারমোনিয়ামে আলমগীর পারভেজ সুমন।
ধ্রুপদ রাগ-ছায়ানট পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী অভিজিৎ কুন্ডু এবং টিংকু শীল। তাঁদের সাথে পাখোয়াজে ছিলেন আলমগীর পারভেজ সুমন আর তানপুরায় ছিলেন জ্যাতিশ্রী রায় ও ধ্রুব সরকার।
এরপরের পরিবেশনা ছিল দলীয় এসরাজ। রাগ ইমন পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা রায়হান, মোঃ রায়হানুল আমিন, রনজিত রায়, শুক্লা হালদার, ইসমাত আরা রুচি, শৌণক দেবনাথ ঋক, সৌমিত রায়, গৌরাঙ্গ কৃষ্ণ দাস এবং এসরাজের শিক্ষাগুরু দেবাশীষ হালদার। তাঁদের সাথে তবলায় সংগতকারী হিসেবে ছিলেন সুপান্থ মজুমদার।
উচ্চাঙ্গসংগীত আসর “সুনাদ”-এর শেষ দিনের সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল এসরাজ শিক্ষক শ্রী দেবাশিষ হালদারের একক পরিবেশনা, রাগ আভোগী। সাথে তবলায় ছিলেন সুপান্থ মজুমদার।
অনুষ্ঠান শেষে দর্শকরা এ আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরকম আয়োজন আরও নিয়মিত হলে বাংলাদেশ উচ্চাঙ্গ সংগীত চর্চায় আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে অনেকেই আশা প্রকাশ করেন।শেষদিনেও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।