২০১৬ সালের এপ্রিলের ৩০ তারিখ নিজের প্রেসিডেন্সির মেয়াদ শেষ করার প্রায় ৯ মাস আগে হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টদের সঙ্গে শেষ বারের মতো বার্ষিক ডিনার করতে বসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ডিনারে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বাঘা বাঘা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হাস্যোজ্জ্বল ওবামা নিজের বক্তৃতায় রসিকতা করে বলেন,
“I also would like to acknowledge the some of the award-winning reporters who we have with us tonight. Rachel McAdams, Mark Ruffalo, Liev Schreiber, thank you all for everything that you’ve done. I’m just joking. As you know, ‘Spotlight’ is a film, a movie about investigative journalists with the resources, the autonomy to chase down the truth and hold the powerful accountable. Best fantasy film since ‘Star Wars.’”
কেন এই প্রসঙ্গ টানা? অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকদের নিয়ে ওবামার কৌতুকী মন্তব্যই কি রোজ আমরা বারবার সত্যে পরিনত হতে দেখছি না? পর্যাপ্ত বেতন, যথেষ্ট প্রশিক্ষণের অভাব ইত্যাদি নিয়ে গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদারদের হতাশাতো আজকের না! কিন্তু Fake News বলে সত্যিকারের সংবাদকে উড়িয়ে দেওয়ার দিনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার খোঁজ কি তাহলে ওবামার ভাষায় কেবল সিনেমাতেই মিলবে?
সাংবাদিকদের কি করা উচিত কিংবা কোন পত্রিকায় কি ছাপছে-কেন ছাপছে তা নিয়ে ফেসবুকে আলপটকা মহাজ্ঞানী বিশ্লেষক স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে এক ডজন দারুণ সিনেমা দেখে নিতে পারেন পাঠক। কারণ এই সিনেমাগুলোতে ফুটে উঠেছে বারাক ওবামার ভাষায় ফ্যান্টাসির চেয়েও বেশি অবাক করা অসাধারণ নানা রকমের সাংবাদিকতার বহুমাত্রিক নজির।
Citizen Kane
১৯৪১ সালের সিনেমা। সত্যিকারের এক সম্রাটকে নিয়ে। হলুদ সাংবাদিকতার সম্রাট। উইলিয়াম র্যানডলফ হার্স্টের আদলে তৈরি চরিত্র চার্লস ফস্টারের মৃত্যু ঘটে একাকী, নিজের বিরাট প্রাসাদে। উৎসুক প্রতিবেদক জেরি টমসন নামে মৃত ফস্টারের সত্যিকারের জীবন কাহিনীর খোঁজে, যদি স্কুপ মেলে। শুরু হয় ফস্টারের জীবনের সাথে নানা ভাবে জড়িত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া। এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেই ফ্লাশব্যাকে পর্দায় ফুটে ওঠে ফস্টারের জীবনের নানা দিক। সাধারণ থেকে একজনের অসাধারণত্বে উত্তরণ এবং সেই দীর্ঘ যাত্রায় ফস্টারের সমস্ত নোংরামি অসদুপায়ের সাবলীল চলচ্চিত্রায়ণ। টেকনিক-কন্টেন্ট সব মিলেই অরসন ওয়েলসের সিনেমাটি সত্যিকারের এক ক্ল্যাসিক।
Ace in the Hole
এইস ইন দ্য হোল, ১৯৫১ সালের সিনেমা। রাজধানীর তথাকথিত বড় সাংবাদিকরা নানা প্রলোভনে কিভাবে পথ হারান এবং যেনতেন প্রকারেণ নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে যান তবে কি কি ঘটতে পারে তার টেক্সটবুক কেস এ সিনেমা। গল্পটা পাঠকদের অনেককেই রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতাকে মনে করিয়ে দিতে পারে। বিলি ওয়াইল্ডারের মতো পরিচালকের জীবনের প্রথম ফ্লপ হলেও পরবর্তীতে ‘এইস ইন দ্য হোল’-কে অনেকেই তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন। যেখানে নিষ্ঠুর, লোভী এবং সোজা বাংলায় স্রেফ স্বার্থপর এক শহুরে সাংবাদিকের চরিত্রে নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে প্রধান চরিত্রের অন্ধকারতম দিকগুলো রুপালি পর্দায় চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন কার্ক ডগলাস।
La Dolce Vita
তরুণ সাংবাদিক মার্সেলো রুবিনি লেখালেখি করে রগরগে এক গসিপ ম্যাগাজিনের জন্য। বিখ্যাত-গুরুত্বপূর্ণ সব মানুষজনের সাথে কাজে-অকাজে রোজ সারাক্ষণ ওঠাবসা। রোমের মতো আজব ব্যস্ত এবং অনন্য এক শহরকে মার্সেলোর সিদ্ধান্তহীন চোখে দেখেছেন পরিচালক। চিত্রনায়িকা থেকে শুরু করে রাস্তার পতিতা- প্রত্যেকের সাথে অদ্ভুত এক যোগাযোগ বৈকল্যের মাঝে মার্সেলো শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায় চটকদার সংবাদের মূল্যহীনতা। ‘লা ডলচে ভিটা’ ১৯৬০ সালে কানে সেরা ছবির পুরস্কার জেতে।
Zodiac
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘জোডিয়াক’। কাহিনির সূত্রপাত ১৯৬৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ভ্যালেও শহরে। আজব এক সিরিয়াল কিলারের যন্ত্রণায় বেসামাল তখন সেখানকার পুলিশ। খুন সেরে খুনি নিজে পুলিশে ফোন করে খুনের দায় স্বীকার করে, এমনকি স্থানীয় পত্রিকায় চিঠি-ধাঁধা পাঠিয়ে রাতারাতি সাইকোপ্যাথ হিসেবে নিজের আলাদা এক ভাবমূর্তিও প্রতিষ্ঠা করে ফেলে। নিজের নাম নেয় জোডিয়াক। প্রতিটি খুন ভিন্ন ভিন্ন পুলিশি এলাকাতে ঘটায় প্রতিটি এলাকার পুলিশ যার যার মতো করে তদন্তে নামে, এবং স্বভাবতই কূল কিনারা করে উঠতে ব্যর্থ হয়। সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার পল এমরি মাঠে নামেন পেশাগত কারণেই। যদিও সেই পত্রিকারই রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট রবার্ট গ্রেস্মিথ স্রেফ আগ্রহবশত সিরিয়াল কিলার জোডিয়াকের পাঠানো ধাঁধাগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিড টস্কি, ক্রনিকলের সাংবাদিক পল এভরি এবং কার্টুনিস্ট রবার্ট গ্রেস্মিথের সেই সাইকোপ্যাথ অনুসন্ধানের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার সিনেমা, জোডিয়াক। চিত্রনাট্য লেখা হয় কার্টুনিস্ট গ্রেস্মিথেরই লেখা দুটি বইয়ের ভিত্তিতে।
All the President’s Men
একজন নির্ভীক সম্পাদক এবং দুই তরুণ সাংবাদিক সততা, দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে পতন ঘটিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের। নানা হুমকি ভয়ভীতির মধ্যে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখিয়ে দায়িত্ব পালন করা সেই সাংবাদিকেরা কাজ করতেন বিখ্যাত পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে। দুই সাংবাদিকের নাম কার্ল বার্নস্টাইন আর বব উডওয়ার্ড, সম্পাদকের নাম বেঞ্জামিন সি. ব্র্যাডলি । আজও সারা পৃথিবীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে নন্দিত হয় ‘উডস্টাইন’।
পরে বব উডওয়ার্ড এবং কার্ল বার্নস্টাইন যৌথভাবে লিখেছিলেন ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ শিরোনামের এক বই। যাতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি এবং সংবাদের পেছনের গল্পের সাথে সাথে বর্ননা করেছিলেন নিজেদের সেসময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও। পরবর্তীতে এই বইটিকে ভিত্তি করেই ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয় ১৩৮ মিনিটের বিশ্বনন্দিত এক ছবি, ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’। তাতে বব উডওয়ার্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ড, কার্ল বার্নস্টাইনের ভূমিকায় ডাস্টিন হফম্যান; আর বেঞ্জামিন ব্র্যাডলির ভূমিকায় জ্যাসন রবার্ডস। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অ্যালান জে. পাকুলা।
Network
নেটওয়ার্ক সিনেমা নয়, ভবিষ্যদ্বাণী। আজ এই সিনেমাটি দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে পারবে না যে, ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয়েছিল ‘নেটওয়ার্ক’। ঠিক ৫০ বছর পরে সংবাদ প্রচারের ধরণ কেমন হবে তা বলে দিয়েছিল এই সিনেমাটি।
কীভাবে রেটিং-ই নির্ধারণ করে দেবে কোন সংবাদ প্রচার হবে। কর্পোরেট মালিকানার সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে সেই রেটিং অর্জনের জন্যে যেকোনো কিছু প্রচার করতে প্রস্তুত থাকবে। বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমের এই পতিত দশা সেকালেই চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছিল ‘নেটওয়ার্ক’। ক্ল্যাসিক এই ছবিটি জেতে চারটি অস্কার। ছবিটি দেখা উচিৎ সবার, সাংবাদিকদের তো অবশ্যই। ‘নেটওয়ার্ক’-এ অভিনেত্রী বেট্রিস স্ট্রেইটের স্ক্রিন প্রেজেন্স ছিল মাত্র ৫ মিনিট ২ সেকেন্ডের। এটুকু সময়েই নিজের অভিনয়ে তিনি জিতেছেন একটা অস্কার! সবচেয়ে কম সময় অভিনয় করে অস্কার জয়ের রেকর্ড আজও অক্ষুন্ন তার। সিডনি লুমে পরিচালিত সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন প্যাডি চায়েফস্কি।
The Killing Fields
সিডনি শনবার্গ, একাত্তরে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু সাংবাদিক। বিখ্যাত এই সংবাদকর্মীর কম্বোডিয়ার গণহত্যা চলাকালীন সময়ে নিজের সহকর্মী-বন্ধুকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটি নির্মিত হয় ১৯৮৪ সালে। কম্বোডিয়ায় পলপটের নেতৃত্বাধীন খেমাররুজ আমলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত হয় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস এক গণহত্যা। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে সংঘটিত এ গণহত্যায় প্রাণ দিয়েছিল আনুমানিক ১৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ।
‘দি কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটির গল্পের শুরু ১৯৭৩ সাল থেকে। তখনও খেমাররুজরা রাজধানী নমপেন দখল করেনি। এরপর আবার কাহিনি চলে যায় ১৯৭৫ সালে, যখন খেমাররুজরা দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি দখল করেছে। মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ কিভাবে নমপেন থেকে বন্ধু-সহকর্মী দোভাষী ডিথ প্র্যানকে কম্বোডিয়া থেকে উদ্ধার করেন সেটা নিয়েই মূলত সিনেমার গল্প।
Goodnight and Good Luck
‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’ সিনেমাটি প্রতিটি সংবাদকর্মীর অন্তত একবার দেখা বাধ্যতামূলক। গত শতাব্দীর সেরা টেলিভিশন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন এডওয়ার্ড আর. ম্যুরো। কমিউনিস্ট দমনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংস্কৃতিক ইনকুইজিশন চালানো সিনেটর জোসেফ ম্যাককার্থির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মী হিসেবে ম্যুরোর লড়াইই এই সিনেমার গল্প। পর্দায় ম্যুরোর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা ডেভিড স্ট্রাথাইর্ন। অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত জর্জ ক্লুনি পরিচালিত এই সিনেমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সত্যিকারের টেলিভিশন শোটির বেশ কিছু ফুটেজ। ‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’ নামটি নেওয়া হয়েছিল ম্যুরোর নিজের শো’র বিদায়ী সম্ভাষণ থেকে।
Spotlight
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের ওপর করা ক্যাথলিক পাদ্রিদের যৌন নিগ্রহের সংবাদ প্রকাশ করে তোলপাড় তুলে দেয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিখ্যাত দ্য বোস্টন গ্লোব পত্রিকার ‘স্পটলাইট’ টিম। এজন্য সাংবাদিকতার বিখ্যাত পুলিৎজার সম্মাননায়ও ভূষিত হয় তারা। ২০০২ সালের সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে নির্মিত হয় ‘স্পটলাইট’। যে চলচ্চিত্রের ঝুলিতে যোগ হয় সেরা চলচ্চিত্রের অস্কারও। এছাড়া সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কারটিও গেছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার থমাস জোসেফ ম্যাকারথি এবং আরেক চিত্রনাট্যকার জোশ সিঙ্গারের ঝুলিতে।
Night Crawler
বেকার এক যুবক হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চাকরির খোঁজে। পেট চালাতে শুরু করেছে ছিঁচকে চুরি। ঘটনাচক্রে রাতের বেলায় এক দুর্ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টিভি চ্যানেলে বিক্রির সুযোগ ঘটে তার। এরপরে পেঁচার মতো রাত জেগে বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করাই তার অবসেশনে পরিণত হয়। রোমাঞ্চকর ভিডিওর জন্য বিসর্জন দেয় মানবিকতাও। ভিডিও ধারণের যোগানের হিসেব মেলাতে নিজের সহকর্মীকে পর্যন্ত বিপদে ফেলে। ক্যামেরা আর নির্ঘুম চোখের গল্প নাইটক্রলার। জ্যাক গিলেনহাল অভিনীত সিনেমাটি রচনা-পরিচালনা করেছিলেন ড্যান গিলরয়।
Sweet Smell of Success
গল্পটা ঠিক সাংবাদিকদের নিয়ে না। বলা যায় সাংবাদিকতার পরজীবীদের নিয়ে। পিআর ফার্ম বললে বুঝতে হয়তো সুবিধা হবে অনেকের। সিডনি ফ্যালকো নামের একজন প্রেস এজেন্টের ক্লায়েন্টের চাহিদা মত সংবাদ প্রকাশ করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়েই এগিয়েছে সিনেমার গল্প। ক্লায়েন্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বার্ট ল্যানকাস্টার, আর এজেন্টের চরিত্রে টনি কার্টিস। ক্লায়েন্টের বোনের সাথে জ্যাজ মিউজিশিয়ানের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে ব্যর্থ হলে সিডনি ফ্যালকো একের পর এক বিপত্তির সম্মুখীন হতে থাকে। এই সিনেমার সাউন্ড ট্রাক সেই সময়ে বেশ সারা ফেলেছিল পাশাপাশি আলোচিত ছিল সিনেমার দৃশ্যায়নে নতুন ভাবে দেখানো আরেক ম্যানহাটন শহরকে।
His Girl Friday
ক্যারি গ্রান্ট ও রোজলিন্ড রাসেল অভিনীত বিখ্যাত রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের সিনেমা। পরিচালক হাওয়ার্ড হকস সিনেমার গল্পটা নিয়েছিলেন ১৯২৮ সালের মঞ্চনাটক ‘দ্য ফ্রন্ট পেইজ’ থেকে। পত্রিকার সম্পাদক, সেই একই পত্রিকায় কর্মরত সম্পাদকের সাবেক স্ত্রী, সেই সাবেক স্ত্রীর নতুন প্রেমিক, এবং একটি খুনের মামলা! সিনেমার মূল গল্পের রসদ কিন্তু কম না! যদিও গসিপ কলামিস্টদের জীবনের নানা দিকই ছিল সিনেমার স্ক্রুবল কমেডির মূল কাহিনির যোগানদার কিন্তু তার মাঝেই প্রকাশ পায় সেসময়ের সাংবাদিকতার নানা দিক। সিনেমায় ক্যারি গ্রান্টের অভিনীত ওয়াল্টার বার্নস চরিত্রটির মূল লক্ষ্য ছিল যেনতেন প্রকারেণ নিজের সাবেক স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়া। ১৯৪০ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার চরিত্রগুলোর মধ্যে ওভারল্যাপ করা ডায়লগ ছিল দর্শকদের জন্য একদমই নতুন এক বিনোদন।
তো এই এক ডজনের মধ্যে আছে কি আপনার পছন্দের সিনেমাটি?