রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে গতকাল উদ্বোধন হয় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর “সুনাদ”-এর। বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নবীন ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগঠিত হয়েছে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়। উপমহাদেশের গুণী সংগীতগুরু ও শিক্ষকদের সযত্ন দীক্ষা ও শিক্ষা গ্রহণ করে পরম্পরার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগীতের অনুকূল আবহ ও অনুরাগ তৈরি হয়েছে। এ সব শিক্ষার্থীর খেয়াল ও ধ্রুপদ পরিবেশন এবং সরোদ, সেতার, তবলা ও এসরাজ বাদন নিয়ে নিয়মিত আয়োজন ‘সুনাদ’-এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর।
শিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ‘যে আশা নিয়ে আমরা বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব শুরু করেছিলাম তারই প্রতিফলন এই বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয় যা গত ৪ বছর ধরে চলছে। এরই মধ্যে আমাদের ২ জন শিক্ষার্থী ভারতে পরিবেশন করে এসেছে। আমরা আনন্দিত এবং আশা করছি এই ধারাবাহিকতা সামনে আরও ভালোভাবে অব্যাহত থাকবে । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী’।
বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী ইশরা ফুলঝুরি খান, ইলহাম ফুলঝুরি খান, সাদ্দাম হোসেন এবং আরেফিন রনি দলীয় সরোদ বাদনের মাধ্যমে প্রথম পরিবেশনা করেন রাগ ভুপালি। তাদের সাথে তবলায় ছিলেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী সুপান্থ মজুমদার এবং রতন কুমার দাস।
এরপর রাগ-শ্রী (খেয়াল) পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, তবলায় ছিলেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী প্রশান্ত ভৌমিক, হারমোনিয়ামে আলমগীর পারভেজ সুমন এবং তানপুরায় ছিলেন সুপ্রিয়া দাস, সুস্মিতা দেবনাথ।
পরবর্তী পরিবেশনা তবলা লহরার জন্য মঞ্চে ওঠেন সুপান্থ মজুমদার, সাথে আলমগীর পারভেজ সুমন ছিলেন হারমোনিয়ামে।
প্রথম দিনের সর্বশেষ পরিবেশনায় রাগ-বাগেশ্রী (খেয়াল) পরিবেশনায় ছিলেন অতিথি শিল্পী অলোক সেন। তবলায় ছিলেন সবুজ আহমেদ আর হারমোনিয়ামে ছিলেন মোহাম্মদ শাকুর, তানপুরায় দ্বীপ চন্দ্র দাস ও ধ্রুব সরকার।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হবে “সুনাদ” এর আসর। পরিবেশনায় থাকবে দলীয় সেতার বাদন, খেয়াল ও ধ্রুপদ পরিবেশন এবং দলীয় এসরাজ বাদন।