রাজকুমার হিরানি যেবছর ছবি বানান, সেবছর বলিউডের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ছবির লিস্টে এক নম্বর জায়গাটা পাওয়া অন্য যেকোন পরিচালকের জন্য কষ্টসাধ্যই বটে। আর তিনি যখন সেই সিনেমাটি বানান সঞ্জয় দত্তের জীবনী নিয়ে, তখন সেই স্থানের জন্য কোয়ালিফাই করাই যে অসম্ভব!
হয়েছেও ঠিক তাই। ট্রেইলার রিলিজের সাথে সাথে জেগে উঠেছে গোটা ভারত! মাত্র দুই দিনে আড়াই কোটি ভিউ নিয়ে ইউটিউব ট্রেন্ডিং লিস্টের ১৩ নাম্বারে আছে ‘সঞ্জু’-র ট্রেইলার। কারণ মার্ভেল-ডিসির সিনেমাগুলোকেও ট্রেইলার মুক্তির তৃতীয় দিনে এসে ট্রেন্ডিং লিস্টের জায়গা খুঁজতে লড়তে হয়!
চলুন ভেঙেচুরে দেখা যাক ট্রেইলারটি।
সঞ্জয় দত্তের জীবন নিয়ে গল্প বলতে হলে মাদকাসক্তি নিয়ে কথা না বলে উপায় নেই। ১৯৯৬ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক ইন্টারভিউয়ে নিজেই স্বীকার করেছিলেন হেরোইন ও কোকেনে নিজের আসক্তির কথা। আর গুণী পরিচালক হিরানিও সে গল্প বলতে দ্বিধা করেছেন না।
সঞ্জয় দত্ত এখন পর্যন্ত কাজ করেছেন ১৮৭টি সিনেমায়। বলিউডের অনেক নায়িকার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও কম লেখালেখি-গুজব হয়নি। সেই লিস্টে ছিলেন রিচা শর্মা, মাধুরী দীক্ষিতের মতো নায়িকাও। সিনেমায় যে সেসব গল্পও বাদ যাবে না যার আভাস পাওয়া গেছে ট্রেইলারেই। সোনম কাপুর থাকছেন সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার চরিত্রে।
১৯৯৩ সালে মুম্বাই শহরের সিরিয়াল বোম্বিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় সাজা খেটেছেন দুই মেয়াদে। ২০১৬ সালে সব কিছু চুকিয়ে জেল থেকে বেরিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। জেল জীবন তাকে পাল্টে দিয়েছে- একথা মিডিয়ার সামনে বলতেও দ্বিধা করেননি। ‘সঞ্জু’ সিনেমার একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকছে ব্যাডবয়ের জীবনের এই অধ্যায়।
সিনেমাটিতে সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী মান্যতা দত্তের চরিত্রে দেখা যাবে দিয়া মির্জাকে। এছাড়াও আনুশকা শর্মা আছেন সাংবাদিক চরিত্রে।
সঞ্জয় দত্তের জন্ম সিনেমা পরিবারেই। বাবা সুনীল দত্ত ও মা নার্গিস দত্ত দুজনেই ছিলেন নামকরা অভিনেতা। মুন্না ভাইয়ের এক কিস্তিতে এমনকি সঞ্জয়-সুনীলকে একত্রেও দেখা গেছে। তবে এই সিনেমায় সঞ্জয় দত্ত নিজেই চেয়েছিলেন তার বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে। যদিও শেষমেশ সেই চরিত্রটি করেছেন পরেশ রাওয়াল। নার্গিস দত্তের ভূমিকায় মনিষা কৈরালা।
আসছে ২৯ জুন মুক্তি পাবে ‘সঞ্জু’। সে পর্যন্ত অপেক্ষা তো করতেই হবে। তবে ট্রেইলারটি আরেকবার ঝালিয়ে নিতে পারেন এখনই-