নববর্ষের হাওয়া লেগেছিল সেই দূর প্রবাসে। সেখানে সকলে একত্রিত হয়েছিল বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে। ১৪ এপ্রিল ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। নানা বর্ণিল আয়োজনে সুদূর নিউজিল্যান্ডে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বাংলা বছর ১৪২৫কে।
বর্ষ বরণের আরম্ভে “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। এবছরের অনুষ্ঠানের উপজীব্য বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাকে গান, কবিতা এবং নাচের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে উপস্থাপন। অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব সাজানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক গান, নাচ এবং কবিতা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। যার মধ্যে ছিল আদিবাসী গান, রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াইয়া গান, দ্বৈত সঙ্গীত, শিশু শিল্পী টপ্পার “খুকি ও কাঠবেড়ালি ” ছড়া গান, তিসি এবং সুব্রতর দুইটি নৃত্য পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানটির পরের অংশে “বাংলা ক্যালেন্ডার এবং আমাদের জীবনযাত্রা” এবং “বাঙালি জাতিসত্তায় পহেলা বৈশাখ এবং আমার ভাবনা” শীর্ষক দুটি আলোচনায় অংশ নেন যথাক্রমে সৈয়দ নিজের আলম এবং এস এম একরামুল কবির।এছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে ২০১৭ -১৮ কার্যবর্ষে বাংলাদেশ সোসাইটির বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদনচিত্র “ফিরে দেখা”ও প্রদর্শিত হয়। রাতের খাবার পরিবেশন করা হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে। খাবার তৈরিতে সহায়তা করেন নাশরাহ নাহরীন, স্বর্ণালী অতসী তিসি, সিরাজিস সালেকিন, রাখি রায়, মোনালি আলম, চৈতি আহমেদ, জান্নাতুন ফেরদৌস বকুল, মাহমুদা আখতার জিনিয়া এবং পল্লবী ঘোষ। অনুষ্ঠানের শেষ আকর্ষণ ছিল ফ্যাশন শো এবং কুইজ। দেশের মাটিতে না থেকেও দেশের উৎসবকে উপলক্ষ করে দূর প্রবাসে একত্রিত হয়েছিলেন বাঙালিরা। স্মরণ করেছেন দেশকে, দেশের মানুষকে, তাদের নিজেদের আয়োজনের মধ্য দিয়ে।