২০১৭ সালে বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকরা দেখেছেন নতুন অনেক কিছুই। পেয়েছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো ক্রাইম থ্রিলার, আবার নবাব, বস ২, রংবাজের মতো যৌথ প্রযোজনার পুরোপুরি ব্যবসায়িক অ্যাকশন সিনেমাও। তারপরেও ছিল একটু কমতি, একটি আদর্শ বাংলা প্রেমের সিনেমা যে নেই এই তালিকায়। এমনটা কিন্তু হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। হৃদয়ের কথা, মনের মাঝে তুমি কিংবা মনপুরার মতো সিনেমাগুলোর কথা মনে আছে? পুরো পরিবার মিলে ছুটির দিনে সিনেমা হলে গিয়ে দেখা হতো যে সিনেমাগুলো!
মন ভালো করবার মতো সংবাদ তাই নিয়ে এসেছে বেঙ্গল ক্রিয়েশন্স। অলটাইম নিবেদিত গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ হতে যাচ্ছে ঠিক সেই ছবিটি। সিনেমাটি যে কিছু কারণে না দেখলেই নয়, সেগুলোই আরেকবার মনে করিয়ে দিতে আজকের লেখা।
১. পরীমনির নতুন লুক
পরীমনির নাম আড্ডার টেবিলে উঠলেই সবার আগে বোধহয় ভেসে ওঠে ‘রক্ত’ সিনেমায় ‘ডানাকাটা পরী’ শিরোনামের গানে পরীমনির লুক। কিন্তু ‘স্বপ্নজাল’-এর ট্রেইলার মুক্তি পাবার পরই পাল্টে গেলো পরীর সব পুরনো হিসাব। শহুরে ড্যাশিং পরীমনির মাঝেই যে নির্মাতা গিয়াসউদ্দীন সেলিম খুঁজে পেলেন এক স্নিগ্ধ শুভ্রাকে। আর দর্শকদের মনেও গেঁথে গেলো পরীমনির এই নতুন ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ লুক।
২. নতুন জুটি
স্বপ্নজালের আরেক চমক ইয়াশ রোহান। এলোমেলো চুলের এই নবাগতকে ট্রেইলারে দেখেই কিন্তু পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। পরীমনির সাথে তার নতুন জুটি কেমন জমবে সেটা দেখার জন্য হলেও সিনেমাটি দেখতে হলে যেতে হবে কিন্তু একবার।
৩. পরিচালকের নাম গিয়াসউদ্দীন সেলিম
পরিচালক গিয়াসউদ্দীন সেলিম নিজেই এই সিনেমাটি দেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। স্বপ্নজাল একারণেই এ বছরে মুক্তি পাওয়া আর দু-দশটা সিনেমা থেকে আলাদা। ব্যবসায়িক যেকোন সিনেমার ব্র্যান্ডিংই এদেশে নায়ক-নায়িকাদের নাম দিয়েই হয়। গিয়াসউদ্দীন সেলিম ব্যতিক্রম সেখানেই। প্রায় এক দশক আগে তার পরিচালিত সিনেমা ‘মনপুরা’ মাতিয়েছিলো পুরো দেশ। সকল বয়সের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একসাথে সিনেমা হলে বসে দেখেছিলো সোনাইয়ের সেই হাহাকার। ফিল্ম সমঝদারদের প্রশংসার সাথে সাথে পেয়েছিলো ব্যবসায়িক সাফল্যও। সেই গিয়াসউদ্দীন সেলিম এতদিন পর ফিরলেন নিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে। তাই, দর্শকনন্দিত এই পরিচালকের ভেলকি দেখতে হলেও সিনেমাটি একবার হলে গিয়ে দেখাই যায়। তাই না?