পাঁচ চলচ্চিত্রে ৭ মার্চের ভাষণ

৭ মার্চ ১৯৭১। দুপুর ২টা ২০ মিনিট। এখন যেখানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, তখন সেটা ছিল রেসকোর্স ময়দান। অগুনতি মানুষ জড়ো হয়েছে বজ্রকণ্ঠ এক জনের ভাষণ শুনতে। সকলের মধ্যেই চাপা উত্তেজনা, কিছু একটা ঘোষণা আসবে। নেতা দিকনির্দেশনা দেবেন।

২টা ২০ মিনিটে মঞ্চে উঠলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ‘ভাইয়েরা আমার’ সম্বোধন দিয়ে আরম্ভ করলেন ঐতিহাসিক সেই ভাষণ। তাতে কেবল জনগণকে দিকনির্দেশনাই দিলেন না, কৌশলে স্বাধীনতার ডাকও দিয়ে রাখলেন।

কোনো সন্দেহ নেই, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণতম ভাষণ। কেবল বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেরই সেরা ভাষণগুলোর একটি ৭ মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণ। যার প্রামাণ্য দলিল সাম্প্রতিক ইউনেস্কোর স্বীকৃতি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা যে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রগুলোতে বারবার উপস্থাপিত হবে, তাতেও সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। হয়েছেও তাই। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় অর্ধশত পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র নির্মিত হয়েছে। তার অনেকগুলোতেই স্থান করে নিয়েছে এই ঐতিহাসিক ভাষণ। কখনো সরাসরি এই ভাষণের ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। কখনো আবার ভাষণটির রেডিওতে সম্প্রচারের উপস্থাপন করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রগুলোতে ৭ মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণের উপস্থাপনে সাধারণত দুটো বিষয় উঠে এসেছে। এক, এই ভাষণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কী ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এবং দুই, এই ভাষণ সাধারণ মানুষকে কী গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।

রূপালি পর্দায় প্রদর্শিত ৭ মার্চের ভাষণের এই উপস্থাপনের থেকে পাঁচটি চলচ্চিত্রের ক্লিপস ঐতিহাসিক এই দিনে তুলে দেওয়া হলো আইস টুডের পাঠকদের জন্য। তবে বলে নেয়া ভালো, এটা সেরা পাঁচ গোছের কোনো বাছাই নয়। বরং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন মেজাজের পাঁচটি চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বেছে নিতে।

ক্লিপসগুলো দেখতে বসার আগে, ভাষণের শেষটুকু একবার মনে করে নিন- ‘আমার অনুরোধ প্রত্যেক গ্রামে, মহল্লায়, ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গড়ে তুলুন। যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। মনে রাখবেন- রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেব, তবু এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। প্রস্তুত থাকবেন, ঠাণ্ডা হলে চলবে না। আন্দোলন ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়লে তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে- শৃংখলা বজায় রাখুন। কারণ শৃংখলা ছাড়া কোন জাতি সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারে না। জয় বাংলা।’

ওরা ১১ জন
মুক্তি : ১৯৭২
পরিচালক : চাষী নজরুল ইসলাম

আগুনের পরশমনি
মুক্তি : ১৯৯৪
পরিচালক : হুমায়ুন আহমেদ

আমার বন্ধু রাশেদ
মুক্তি : ২০১১
পরিচালক : মোরশেদুল ইসলাম

৭১এর মা জননী
মুক্তি : ২০১৫
পরিচালক : শাহ্ আলম কিরণ

লাল সবুজের সুর
মুক্তি : ২০১৬
পরিচালক : মুশফিকুর রহমান গুলজার