আজ চৈত্রের প্রথম প্রহরে চারুকলা অনুষদে শুরু হল বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার কার্যক্রম। বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব গুলোর মাঝে অন্যতম এই শোভাযাত্রার পূর্বপ্রস্তুতির জন্য প্রায় মাসব্যাপী চলে কর্মযজ্ঞ। আজ ছিল তারই শুভসূচনা।
ঢাকীর ঢোল, মাটির সানকিতে মুড়ি-মুরকির আপ্যায়ন আর তার সাতে রং-তুলির আঁচর দিয়ে চলেছেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী। এই মুহুর্ত দিয়েই শুরু হল মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। চারুকলা অনুষদের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত ভাবে কাজ করবে আগামী একমাস, চৈত্রের শেষ প্রহর পর্যন্ত।
আগামী দিন গুলোতে শোভাযাত্রা আয়োজনের লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের জন্য চলবে সরাচিত্র অংকন, কাগজের পাখি তৈরি, টেপা পুতুল, চিত্রকর্ম তৈরি এবং মুখোশ নির্মাণ। শিল্পকর্ম বিক্রয়ের অর্থ থেকে তৈরি হবে শোভাযাত্রার জন্য রঙিন কাঠামো নির্মাণ। চারুকলা অনুষদের সাবেক ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থী অংশ নিবেন এই আয়োজনে।
১৯৮৯ সালে স্বৈরশাসনের সময় দেশের এক অস্থিতিশীল অবস্থায় দেশের শুভকামনা প্রত্যাশায় এবং অপশক্তির বিনাশের প্রত্যাশায় শুরু হয়েছিল এই শোভাযাত্রার উদ্যোগ। এরপর থেকে টানা চলমান এই মঙ্গল শোভাযাত্রা ৩০তম বারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে চারুকলা অনুষদ হতে। এরই মাঝে ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
ছবি- আফিয়া আনজুম