মাত্র ৫৪ বছর বয়সে চলে গেলেন হিন্দি সিনেমার প্রথম নারী সুপারস্টার, না ফেরার দেশে। দুবাইতে গিয়েছিলেন স্বামী বনি কাপুর ও ছোট মেয়ে খুশি কাপুরের সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। সেখানেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জানা যায়, শ্রীদেবী আর নেই।
শিশু শিল্পী হিসেবে ১৯৬৯ সালে ‘থুনাইভান’ দিয়ে সেলুলয়েডের রূপালী পথে যাত্রার শুরু। নায়িকার চরিত্রে প্রথম অভিনয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে। বলিউডে পা রাখার আগেই তামিল, তেলেগু, কন্নর ও মালয়ালম সিনেমায় অকল্পনীয় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী।
১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় জাম্পিং জ্যাক জিতেন্দ্রর সাথে তার সিনেমা হিম্মতওয়ালা। রাতারাতি শ্রীদেবী পরিণত হন সেনসেশনে। ব্যাক টু ব্যাক হিট হয় আরেকটি সিনেমা তোহফা, নায়ক সেই জিতেন্দ্রই।
অভিনয়ের জন্য বোদ্ধাদের প্রশংসা পেয়েছেন সাদমায়। কমল হাসান, সিজলিং হট সিল্ক স্মিতা থাকলেও তার অভিনীত রেশমী নামের প্রতিবন্ধী চরিত্রকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত সাদমার একটি গান এখনও তুমুল জনপ্রিয়।
এরপরে মন দিলেন পিওর বাণিজ্যিক সিনেমায়। বিষধর নাগিনী নিয়ে ভারতীয় ফ্যান্টাসির গভীর সমুদ্রে সুনামির জোয়ার এনেছিলেন একমেবাদ্বিতীয়ম শ্রীদেবীই।
সীতা অউর গীতার হ্যাপেনিং হেমামালিনীকে ভুলিয়ে ছিলেন চালবাজে অঞ্জু আর মঞ্জু হয়ে। বৃষ্টিতে ভিজে শত কোটির দেশে ততোধিক ফ্যান্টাসির উদগাতা হয়েছেন বারংবার।
এবং হাওয়া হাওয়াই। মিস্টার ইন্ডিয়ার শ্রীদেবীকে কি ভোলা যায়?
এই এক গানের তো রিমেকই হয়েছে কত শত বার। বিদ্যা বালানও একদফা নেচেছেন রেট্রো সেই সুরে যদিও সক্কলের মনে আছে স্রেফ শ্রীদেবীকেই।
নব্বইয়ের শুরুর দিকে ব্যাক টু ব্যাক যশ চোপড়া প্রোডাকশনস। চাঁদনি ও লামহে। দুটো সিনেমারই মিলেছে বক্স অফিস সাফল্য, বোদ্ধাদের প্রশংসা। ‘লামহে’কে তো বিবেচনা করা হয় ভারতীয় সিনেমার শতবর্ষের ইতিহাস সেরা ১০টি রোমান্টিক সিনেমার অন্যতম হিসেবে।
মাঝে কিছু বছর গেল। আরব সাগরের পাড়ে পার হয়েছে বেশ কিছু বসন্ত।
স্ক্রিনে ফিরলেন শ্রীদেবী। সে কারণেই মিলেনিয়ালরা শ্রীকে চেনেন শশী হিসেবে। ইংলিশ ভিংলিশের ইংরেজি না জানা লাড্ডু বানানো শশীকে কার পক্ষে ভোলা সম্ভব বলুন?
শ্রীর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ‘মম’। আর মুক্তির অপেক্ষায় আছে শাহরুখ খানের সাথে ‘জিরো’। যদিও সিলভার স্ক্রিনে শ্রীদেবীকে শেষবার দেখতে শোকাতুর ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।