গবেষণায় প্রথম জীবনানন্দ-ভূমেন্দ্র গুহ পুরস্কার পেলেন ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ

জীবনানন্দ গবেষণায় পথিকৃৎ ভূমেন্দ্র গুহ স্মরণে প্রবর্তিত ‘জীবনানন্দ-ভুমেন্দ্র গুহ পুরস্কার’ পেলেন ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। তার গবেষণা গ্রন্থ ‘নতুন চর্যাপদ’- এর জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। আজ সন্ধ্যায় লালমাটিয়ার বেঙ্গল বই প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাহিত্য ক্ষেত্রে গবেষণাকে স্বীকৃতি দিতে বেঙ্গল পাবলিকেশনস্‌ এবছর থেকেই এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

প্রথমবারের এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ ড. মার্টিন কেম্পশেন। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেব মঞ্চে ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব আবুল খায়ের এবং ‘কালি ও কলম’ সম্পাদক জনাব আবুল হাসনাত। শুরুতেই এ পুরস্কার প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একক বক্তৃতা প্রদান করেন জার্মান বংশোদ্ভুত রবীন্দ্র গবেষক ড. মার্টিন কেম্পশেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণায় রত মার্টিন কেম্পশেন অনুবাদ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ রবীন্দ্র-সাহিত্য। নিজের বক্তৃতায় রবীন্দ্র গবেষণায় জড়িয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পাঠ করে আমি বিমুগ্ধ হয়ে যাই। তখনও বুঝতে পারিনি যে রবীন্দ্র-সাহিত্য আমার জীবনের এত বড় অংশ হয়ে উঠবে। পরে রবীন্দ্রনাথের বাংলা কবিতা ও তার অনুবাদ পড়ে আমি বাংলা পঙক্তি ও ছন্দের শক্তির জায়গাটা অনুধাবন করতে পারি।’ অনুবাদক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তিনি।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, স্মারক ও একটি সনদ প্রদান করা হয়। সম্মাননা স্বীকৃতি পেয়ে ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘গত আট বছর ধরে গবেষণার ফল এই বই’।

ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ড. মার্টিন কেম্পশেন

সভাপতির বক্তব্যে এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের বই নতুন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের বিশেষ কাজে আসবে। কেননা এ ধরণের গবেষণা বাংলা সাহিত্যে বিরল’।

উল্লেখ্য, বেঙ্গল পাবলিকেশন্‌স থেকে ২০১৬ সালে জীবনানন্দ সমগ্র প্রকাশিত হয়। যা সম্পাদনা করেছিলেন জীবনানন্দ-গবেষক ডা. ভূমেন্দ্র গুহ।