তাহসান শোনালেন অন্য কারও গল্প, গাইলেন নিজের গান তিসার সাথে

চাইলে এক চুটকিতে একে প্রচারণার আর দশটা গল্পের মধ্যে ফেলে দিতে পারেন। গায়ক থেকে নায়ক কিংবা আরো বহু কিছু যিনি, সেই তাহসান তো আর এমনি এমনি রাঙামাটির গ্রামে গিয়ে হাজির হবেন না! তবে জেনারালাইজ না করার হুকুম দিলে, এক পাহাড়ী বালিকার মিষ্টি সরল স্বরে মিলেছে পুরোনো এক গানের নতুন আমেজ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অপরূপ রূপ।

তিসা দেওয়ান রাঙামাটির প্রত্যন্ত এক গ্রামের কিশোরী। প্রকৃতির সারল্য ছাপিয়ে আধুনিকতায়ও পিছিয়ে নেই সে। তাহসানের পুরোনো ‘আলো’ গানটি ঠিকঠাক কভার করার পরে শখের বশেই ফেসবুকে আপলোড করার পর দারুণ সাড়া পাওয়া-সেখান থেকে তার নাম ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি। তাহসান (বা ভিডিওটির স্টোরিলাইন) যেভাবেই বলুন না কেন, গল্পের শুরু তো সেখান থেকেই!

মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টিমের সঙ্গে মিলে তাহসান নিজেই গিয়েছেন তিসার সাথে দেখা করতে, আর এই ভ্রমণের শুরু থেকে শেষতক দেখা মেলে পাহাড়ের রূপ। সেক্ষেত্রে অবশ্য ক্যামেরার পেছনের যারা কাজ করেছেন, তাদের বাহবা দিতেই হয়।

প্রিয় শিল্পীকে দেখে আপ্লুত তিসা

ভিডিওটি স্টোরিমেড হোক বা একটু ডকুমেন্টারি ঘরানারই হোক, তাহসানকে দেখার পর তিসা এবং তার মায়ের সরল আবেগ সবাইকে মনে করিয়ে দেয় পাহাড়ী মানুষের সাধাসিধে মনের পরিচয়। ‘আলো’ গানটি কভার করার জন্য ‘তাহসান’ তিসাকে ধন্যবাদ দিতে গিয়েছেন, আর তাহসান-ভক্তরা হয়তো তিসাকে আরেকটু বাড়তি ধন্যবাদ জানাবেন বহু-ব্যবহৃত একটি গানকে নবজন্ম দেওয়ার জন্য। সবশেষে তাহসান এবং তিসার নৌকায় বসে গাওয়া ‘আলো’ গানটি শুনতে বা দেখতে আসলে কেবলই তিসার বলে মনে হয়।

বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় আবেগ এবং প্রকৃতির যোগফল ব্যবহার নতুন কিছু নয়। আর এই খেলায় গ্রামীণফোনও নিজের দক্ষতা দেখিয়েছে বহুদিন আগেই। পার্বত্য অঞ্চলের বড়সড় অংশে নিজেদের জায়গা নেওয়ার এই নতুন প্রচেষ্টাও তাই টেকনিক্যালি প্রশংসা নেওয়ারই দাবি রাখে। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে অবশ্য একে কিভাবে যাচাই করবেন, সে ভার থাকুক সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব পরিসরের প্রতিক্রিয়াশীলদের জন্য।

ভিডিওটি দেখতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন-

আর তিসার গাওয়া সেই গানটি দেখুন-