গেল বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখ নেটফ্লিক্স জার্মান ভাষায় তাদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসে। ‘ডার্ক’ নামের সেমি-সুপারন্যাচারাল, মিস্ট্রি ড্রামা ধাঁচের এই সিরিজটি ইতিমধ্যেই সবার মন কেড়ে নিয়েছে। নেটফ্লিক্সও ১ম সিজনের এমন সাফল্যের পর এর দ্বিতীয় সিজন তৈরির গ্রিন সিগনাল দিতে দেরি করেনি। ২০১৮ তেই শুরু হবে ২য় সিজনের কাজ।
পুরোপুরি জার্মান ভাষার এই সিরিজটির গল্প জার্মানীর উইন্ডেন নামের একটি শহরকে ঘিরেই। এই শহরেই ২০১৯ সালের প্রেক্ষাপটে গল্প শুরু হয়। এই শহরের এক ছোট্ট ছেলে মিকেল। তার হারিয়ে যাওয়া থেকেই মূল ঘটনার শুরু। শহরের কাছেই এক জঙ্গলের মধ্যে একটি গুহা। সেই গুহার আশেপাশেই নিখোঁজ হয়েছিলো মিকেল।
একই এলাকাই অজানা কারণে ছেয়ে গেছে অসংখ্য মৃত পাখি দিয়ে। রহস্য আরো ঘনীভূত হয় এইসব আলামতে। একপর্যায়ে নিজের ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে পরে বাবা উলরিক যিনি আবার পেশায় উইন্ডেনের একজন পুলিশ অফিসার। তারপর আস্তে আস্তে ঘটনা জট খুলতে শুরু করে।
ওয়েব সিরিজটির গল্প সোজা করে বললে অনেকটা এমনই। তবে গল্পটি শুধুই ২০১৯-এর প্রেক্ষাপটে থেমে থাকেনি। উইন্ডেন শহরের ৪টি পরিবারের মধ্যে গল্প আবর্তিত হতে থাকে। এবং গল্পটি এর চেয়েও জটিল হয়ে উঠে যখন অনেকগুলো চরিত্রই বুঝতে পারে যে, গুহাটি দ্বারা টাইম ট্রাভেল সম্ভব। ২০১৯, ১৯৮৬, ১৯৫৩ তিনটি প্যারালাল সময়ের গল্প চলতে থাকে ছোট পর্দায়। কি শুনতে অনেক জটিল মনে হচ্ছে?
কিন্তু এখানেই সিরিজটির সফলতা। আপাতদৃষ্টিতে অনেক জটিল গল্প বলে মনে হলেও, পর্দায় এমনভাবেই গল্পটি বলা হয়েছে যেন খুব সহজেই দর্শক তা হজম করতে পারে। আবার সহজ করে গল্প বলতে গিয়ে কোথাও সাসপেন্স তৈরির সাথে আপোষও করেননি এই সিরিজের জার্মান ক্রিয়েটর বারান বো ওডার। তাই দর্শকও লুফে নিয়েছে সহজেই। ইতিমধ্যেই এই সিরিজটির তুলনা করা হচ্ছে নেটফ্লিক্সেরই আরেকটি অতি জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর সাথে। তবে অনেক সমালোচকই একে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর চেয়েও পরিণত বলে দাবি করেছেন। তাই এখনো যদি না দেখে থাকেন তাহলে আজই বসে পরতে পারেন এই নতুন সিরিজটি নিয়ে। টানটান উত্তেজনা আর প্রতি এপিসোডের ক্লিফহ্যাংগারের বদৌলতে একটানেই দেখে ফেলতে পারবেন এই সিরিজটি, সেই গ্যারান্টি দেয়াই যায়।