‘এটা করার বয়স তোমার হয়নি!’ আর ‘এটা করার বয়স কি তোমার আর আছে?’-এমন দুটি বাক্য সময়ে সময়েই আমাদের শুনতে হয়, মানতেও হয়। বয়স বড় সমস্যার বিষয়, চাইলেই সব করা যায় না; পাছে ‘বেমানান’ শোনার শংকা থাকে যে! প্রতিদিনের সবচেয়ে স্বস্তির পোষাক জিন্সের ক্ষেত্রেও বিষয়টি ঠিক তেমনই, বলছে এক গবেষণা। জিন্সপ্রেমীরা মানুন আর না মানুন, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর ‘জিন্স’ ঠিক আপনার নয় আর!
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠান নিজেদের গরজে তাদের হাজার দুয়েক ক্রেতার সাহায্য নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। সে গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই তাদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে পোশাক-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন। আর সেখানেই দেখা গেছে যে, বয়ষ্ক ক্রেতারা তাদের জন্য উপযোগী জিন্স প্যান্ট খুজতে গিয়ে অধিকাংশ সময়েই ব্যর্থ হচ্ছেন।
গবেষণার কথা খানিকটা সময়ের জন্য না হয় অন্যপাশে রাখুন। দাম কম হোক আর বেশি, পছন্দসই জিন্স বাছাই করা তেমন সোজা কাজ নয়। মাপে ঠিকঠাক যেমন হওয়া চাই, তেমনি মানানসই না হলে তো আর যে পোষাকই হোক; জিন্স পরা যায় না! আর এই পপ কালচারের যুগে অগুণতি চিত্র-বিচিত্র নকশার জিন্সের দাপটে বয়স্ক জিন্সপ্রেমীদের নাকাল হওয়াটাই অস্বাভাবিক নয়। গবেষণাতেও শেষমেষ তেমন একটা ফিনিশিং লাইন চলে এসেছে।
গবেষকরা অনেকটা রেকমেন্ড করে দিচ্ছেন, বয়স ৫৩ পেরুলে আর জিন্স নয়। অবশ্য বিষয়টা এমন নয় যে তাতে কোনো ক্ষতি আছে। বাস্তব এটাই যে, এই বয়সের কেউ যদি নিজের সাথে মানানসই জিন্স খুজতে চান, সেটা খড়ের গাদায় ছুঁচ অনুসন্ধানের চেয়ে কম কঠিন হবে না। আর তার চেয়েও বড় কথা, এই অনুসন্ধানের সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার হতাশায় ভোগার শংকা রয়েছে। বারবার ‘সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি’র কথা ভেবে হাহুতাশ হতে পারে, মনে হতে পারে জীবনে তো আর কিছুই বুঝি রইল না!
তবে মনে ও শরীরে তারুণ্য তো অনেকের বহু বয়সেও থাকতে পারে। আর তাদের ক্ষেত্রে এই ৫৩-এর সীমারেখার যে প্রয়োজন নেই, তা বলাই বাহুল্য। পছন্দসই জিন্স অনুসন্ধানে তাদেরকে স্বাগতম। হয়ত এমন কিছু মানুষের কথা ভেবেই মিনার মাহমুদ এককালে বলেছিলেন-
জিন্সের মতো জীবন!