বেঙ্গল বই উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনটিও ছিল নানা আয়োজনে মুখর। প্রতিদিনই বেড়েছে মানুষের ভিড় বইয়ের এই নতুন আসরটিতে। ধারাবাহিকভাবে চলছে প্রতিদিনের আয়োজন, যথারীতি সেখানেও রয়েছে লোকসমাগম। গতকাল ১৬ নভেম্বর বেঙ্গল বই-এর সকালের পর্ব শুরু হয় ইউডার শিক্ষার্থীদের সমবেত গান দিয়ে।
গানের পরই ছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন। এই পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চিত্রী মনিরুল ইসলাম ও তরুণ চিত্রনির্মাতা নূহাশ হুমায়ূন। বেঙ্গল বই-এর উদ্দ্যেশ্য যেখানে সকলের সাথে সকলের যোগাযোগ তৈরি, হোক সে ছেলে অথবা বুড়ো, সেই বিবেচনায়ই গতকাল সকালটা ছিল নবীনদের সকাল। এদিন পাঠশালা ও ইউল্যাবের শিক্ষার্থীদের বানানো সর্বমোট ৭ টি সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিশেষ অতিথিরা একত্রে উপভোগ করেন চলচ্চিত্রগুলি। এরপর চলে চায়ের আড্ডা।
প্রতিদিনের আসরেই বেঙ্গল বই রেখেছে একটি করে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। গতকাল আবু ইসহাক হোসেন রচিত বাংলার রেনেসাঁস ও লালন ফকির বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন গবেষক, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেঙ্গল পাবলিকেশনস এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল হাসনাত।
সন্ধ্যার সময়টা ছিল গানের আসরের জন্য নির্ধারিত। গতকাল লালনের গান পরিবেশন করেন শিল্পী ফরিদা পারভীন । লালন ফকিরের গান ও দর্শন নিয়ে কথা বলেন আবু ইসহাক হোসেন। শিল্পী ফরিদা পারভীন এর সাথে তবলায় সংগত করেন দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাঁশিতে ছিলেন গাজি আব্দুল হালিম। ঢোল ও পারকাশনে এ এস এম রেজা বাবু এবং দোতারা ও মেন্ডোলিন বাজান সিরাজ দেওয়ান।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই নতুন উদ্যোগ সারা ফেলেছে শহরবাসীর মাঝে। একটু খানি খোলা আকাশে নিশ্বাস নেওয়ার অপেক্ষায় ছিল নগরবাসী, বেঙ্গল বই সেই অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটালো। এখন শুধু সময় মিলিয়ে জমায়েত হবার পালা, আপনার। বেঙ্গল বই প্রস্তুত আপনার জন্য, চলে আসুন লালমাটিয়ায়।