ঢাকার প্রতিটি খাদ্যপ্রেমী আজ ফেসবুকে সরব থুক্কু উত্তাল এক জোড়া ওয়েটার নিয়ে। তারা ওমর খৈয়ামের পেয়ালা এগিয়ে দেওয়া সাকি নয়, কফি হাউজের চল্লিশোর্ধ মামাস্থানীয় বয় নয়। এরা যন্ত্রচালিত, ডেলিভারি করেন কেবল পিজা ও বিরিয়ানি।
এরা রোবট। মানে দাস। আদপে শব্দটাই যে এসেছিল চেক শব্দ ‘রোবোটা’ থেকে। যার অর্থ হচ্ছে- ‘যে ফুট-ফরমায়েশ খাটে’। রোবোটা শব্দটিকে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ক্যারেল কাপেক সেই ১৯২১ সালে। তার প্রায় শতবর্ষ পেরিয়ে শহর ঢাকা দেখলো রোবটের প্রায়োগিক রূপ। তাও এক রেস্টুরেন্টে।
যদিও রোবটের বুকে ওড়না কেন- এই ইস্যুতে এ জাতি আজ উত্তাল। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল নভেম্বরেও ঘাম ঝরেছে অনেকের!!! ফেসবুকের বুকে কাঁপা কাঁপা হাতে তাই টাকলা ভাষায় তারা চাইছেন বিচার। কিসের বিচার? কার বিচার?
বরং ভাবুন। নিশ্চয়ই এমন কিছু কারণ থাকতে পারে যে কারণে এমনকি রোবটেরও পরতে হয় ওড়না!!!
চলুন না, আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ি।
১০টা ছুঁড়লে একটাতো লেগে যেতেও পারে, নাকি?
১. ওড়না ঠিকঠাক না পরলে রোবটের বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হতেই পারে। বলুন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কি অতোটা অবিবেচক হতে পারেন?
২. এলাকার মুরুব্বিরা কি বলবেন? রোবটের ফ্যামিলি মানে রেস্টুরেন্টের মালিকদেরও তো সমাজ-সংসার নিয়ে চলতে হয়!
৩. ওড়না ছাড়া বেহায়ার মতো ঘুরে বেড়ালে রোবটের বাবা-মা (পড়ুন কর্তৃপক্ষ) সমাজে মুখ দেখাবেন কি করে?
৪. ওড়না ছাড়া ঘুরলে রোবটকে যদি কেউ টিজ করে? সেটাকে কি ইভ টিজ বলা হবে?
৫. ভালো ঘরের (পড়ুন জাপান, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মান দেশের) রোবটেরা ওড়না পরে। তাই এরাও ওড়না পরেছে।
৬. দিন কাল খারাপ। কখন কি হয়ে যায়!! সাবধান থাকা ভালো!
৭. রোবটের পাড়ার মামা-চাচারা কেউ যদি তাকে দেখে ফেলে!
৮. রোবটরাও তো বাংলা সিনেমার ভক্ত। ওড়না না থাকলে নায়ককে দেখে তারা মুখ লুকাবে কিসে?
৯. শীতকাল চলছে। হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
১০. রোবটের নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই ভবিষ্যতে সে বোরখাও পরতে শুরু করবে। সেটারই প্রস্তুতি হিসেবে ওড়না!!