নাবিলা ও একটি মুমূর্ষু রোবট

কিছুদিন আগেই সর্বত্র ঝড় বইয়ে দিয়েছিল সুবোধ । আর এবার সবার নজর কেড়েছে নতুন এক লাল পোস্টার। সুবোধের গ্রাফিতির মত প্রশ্ন রয়েছে এখানেও, নাবিলা জানো?  কি জানতে হবে নাবিলা কে? কে সেই নাবিলা? পোস্টারে সেসব কিছু নেই। রয়েছে এক রোবটের আকুতি, আর অদ্ভুত এক ব্লাড গ্রুপের খোঁজ।

রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও, সার্ক ফোয়ারা, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, সাইন্সল্যাবসহ বেশ কিছু এলাকার দেয়ালে সাঁটানো লাল রঙের পোস্টার আর তাতে সাদা বর্ণে লেখা  নাবিলা জানো? একজন মুমূর্ষ রোবটের জন্য রক্তের প্রয়োজন। রক্তের গ্রুপ (N+)।  এই পোস্টার নিয়ে আবারো আলোড়িত নগরবাসী। শহরে  জন্ম নিয়েছে নতুন এক রহস্যের। কে বা কারা এই পোস্টার তৈরি করেছে? আবার কারাই বা এই পোস্টার দেয়ালে সেঁটে দিচ্ছে? এ নিয়ে কৌতূহলের যেমন অন্ত নেই, তেমনি খোঁজ মেলেনি এ পোস্টারের উৎস কোথায়?

সুবোধ ও নাবিলা এক কাতারে, এক দেয়ালে

কিছুদিন আগে  নগরীর বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে দেখা গিয়েছিল সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না  শিরোনামে গ্রাফিতি। এমনকি ‘সুবোধ’ গ্রাফিতির কারিগরদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়েছিল বলেও গুজব রয়েছে। সেই সুবোধ নিয়ে যখন আলাপের অন্ত নেই সেখানে আবার নাবিলার খবর এল নতুন করে। নাবিলা জানো শিরোনামে এই পোস্টার দেখে অনেকেই মনে করেছেন দুটো ঘটনাই একই সুত্রে গাথা। গ্রাফিতি ‘সুবোধ’ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারাই সম্ভবত নতুন এই কৌশল অবলম্বন করছে। আবার দুটো আলাদা ঘটনাও হতে পারে, নিশ্চয়তা আছে কোন কিছুর? এই অস্থির সমাজে?

ইতিমধ্যে ঘটনাটি রাজধানীর দেয়াল থেকে মানুষের ফেসবুক এর দেয়ালের আলোচনায় চলে এসেছে। কে এই নাবিলা? আর এই মুমূর্ষু রোবটই বা কে? জানতে চায় সবাই।

পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেয়াল

এই পোস্টারে যেই রক্তের গ্রুপ লেখা সেটিও বেশ অদ্ভুত। কারণ সেখানে যে লেখা রক্তের গ্রুপ (N+)। যেহেতু বাস্তবে ‘এন পজেটিভ (N+)’ বলে  কোনো রক্তের গ্রুপ নেই, তাই শুধু নাবিলা নয়, আলোচনা চলছে বেশ এই নিয়েও। গল্প রয়েছে আরও। পোস্টারে ‘মুমূর্ষু’ শব্দটি ভুল বানানে লেখা। লেখা হয়েছে ‘মুমূর্ষ’। এর হেতু কি হতে পারে? ইচ্ছে করে করেছে কেউ? নাকি তার জানাই নেই কোনটি আসল বানান?

পুরো বিষয়টিই যখন রহস্য ঘেরা তখন রাজধানী ঢাকায় চালু হয়েছে নতুন ট্রোল। এ নিয়ে আলোচনা থেমে নেই  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি অনেকে  তাদের অতি উৎসুক মানসিকতা নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় ফেলছেন নাবিলা নামের মেয়েদেরকেও।  নানা কথা লিখে ট্যাগ করা হচ্ছে  ফেসবুকে। এ নাবিলা কাণ্ডে যেমন মজা পাচ্ছেন অনেকেই, তেমনই বিড়ম্বনারও শিকার হচ্ছেন ফেসবুকে নাবিলা নামের আইডিতে থাকা নারীরা।  ট্যাগ হওয়া থেকে বাদ যাননি বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের নাবিলারাও। আয়নাবাজির অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলার ফেসবুক ওয়ালে ট্যাগ করা হচ্ছে এই পোস্টার আর সাথে জুড়ে দেয়া হচ্ছে নানা কথা আর প্রশ্ন!

সুবোধের সমাধান হয়নি, এখন এলেন নাবিলা। দেখা যাক এরপর কে?