Look! Look inside!

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তিত হয় পৃথিবীতে। সেখানে পরিবর্তন অনেক কিছুরই। কখনোবা মানুষ আবার কখনো আমাদের ঘিরে থাকা প্রকৃতি, সবকিছুই সেই পরিবর্তনের চিহ্ন ধারণ করে। কখনো তাতে আলোড়িত হয় মানব মন, কখনো নিরুত্তাপভাবে জীবনযাত্রা চালিয়ে যায়। বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এরথেকে বেশি নিষ্ঠুর কি হওয়া সম্ভব?

শিল্পী অনিক হালদার ভেবেছেন সেসব গুঢ় অর্থ নিয়েই। কেন এমন নিরুত্তাপ মানব জীবন? আবার কেনইবা সেখানে প্রশ্ন নেই? নেই কোন জিজ্ঞাসা? এসব চিন্তা মিলিয়েই শিল্পী অনিক তার প্রদর্শনী সাজিয়েছেন, লুক, লুক ইনসাইড।

হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা

কিভাবে সেই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে? সেটির উত্তর মিলবে যাত্রা বিরতিতে। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শিল্পী অনিক হালদারের প্রদর্শনী। সেখানে কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন বজলুর রশীদ শাওন। কিউরেটর নির্বাচন করছেন, যেভাবে সুন্দরতম উপায়ে প্রকাশিত হবে শিল্পীর মানসিক টানাপোড়েন। যেই আবহে একটুখানি অনুভূতি আবির্ভাব হবে আপনার মনেও।

মিথের চরিত্র, সাপ।

রাজধানীর কামাল আতার্তুক এভিনিউ ধরে এগোলেই দেখা মিলবে যাত্রা বিরতির এই প্রদর্শনীর। ছোট্ট পরিসরের এই গ্যালারীতে প্রবেশের পর সরাসরি দেয়ালের সাদা স্ক্রীন চোখে পরে। সেখানে নিয়মিত বিরতিতে প্রদর্শীত হচ্ছে ভিডিও আর্ট। ভিডিওতে উপস্থিত তিনটি অভিব্যক্তিবিহীন মানুষ যাদের মুখ ঢেকে দেয়া কিছু মৌলিক রঙয়ের কাপড়ে। সামনে দিয়ে চলে যাওয়া গোলকে যাদের নিষ্প্রাণ মুখ চাওয়াচাওয়ি কি হুট করে মনে করিয়ে দেয় আপনার নিজের কথাই? হ্যা, সেই ভাসমান গোলক প্রস্থান করে বটে, সাথে মানবমূর্তিরাও নতুন কিছু করে না। বরং মাথা নুইয়ে হারিয়ে যায় পানির মাঝে। যেখানে ভিডিওটিও শেষ হয় ঢাকের শব্দে।

স্থিরচিত্র, ভিডিও আর্ট থেকে পাওয়া

প্রতিনিয়ত ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীতে টিকে থাকতে যেসব পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পড়ে যায় মানুষ তাতে নিজের অনুভূতিটুকু ভীষণ জরুরী। তাতে অন্তত স্বকীয়তাটুকু বজায় থাকে। যা হতে পারে বেঁচে থাকবার অনুপ্রেরণা।

চলছে প্রদর্শনী

আগামী ১১ নভেম্বর প্রদর্শনীটির শেষ দিন। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা, এই সময়ে দেখে ফেলতে পারেন প্রদর্শনীটি, ছুটির বিকেলে।