নাকের ওপরের চশমাটা ঠিক করে মাস্টারমশাই টকাস করে অর্ধেকটা চক ছুঁড়ে করলেন বিষম চিৎকার…
“ওরে বদের হাড্ডি পড়ালেখা বাদ দিয়ে সারাদিন হিজিবিজি আঁকাআঁকি”
সাথে সাথে মাথা আরও নিচু করে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়ার অভিনয়। এমনটা সম্ভবত সবার ছোটবেলাতেই ঘটেছে।
এমনই হয়তো ছিল ডেনিস হোয়াংয়ের গল্পটাও…
অবশ্য নিজের জীবন নিয়েই সিরিজ অফ মেমোরেবোল ইভেন্টস তৈরি করেছিলো ডেনিস। আর মেমোরেবোল ইভেন্টগুলোকে মিষ্টি করে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সকল প্রশ্নের “উত্তর-বাবা” গুগলতো সবসময় তৈরি। সেজন্যই বোধ করি ব্র্যান্ড আইডেন্টিটির সো কলড ট্যাবু ব্রেক করার দুষ্টু এবং ভয়াল সাহসী চিন্তা করলেন গুগল ফাউন্ডার ল্যারী ও সার্গেই। সেই ‘৯৮ সালে নেভাডা ডেজার্ট-এর “বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল” এ অংশ নেওয়ার বিষয়টা অডিয়েন্সের কাছে প্রথম জানান দিয়েছিলেন তারা, ডুডল করে। মূলত ল্যারী ও সার্গেইয়ের নিজেদের করপোরেট লোগো নিয়ে খেলাধুলার শুরুটা তখনই। প্রথম ডুডলটি ছিল খুবই সিম্পল ডিজাইনের। “ম্যান আউট অফ অফিস” বোঝাতে গুগলের ‘ও’ এর মাঝে একটা স্টিক ফিগার ড্রয়িং করে লোগো তৈরি করা হয়েছিল। তারও দুই বছর পর ‘বাস্তিল ডে’ উপলক্ষে ইন্টার্নশিপে থাকা ডেনিসের আঁকা ডুডল অফিসিয়ালি পাবলিশ করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে ডুডল শুরু করলো নতুন এক জনপ্রিয় ট্রেন্ড। যার ফলাফল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব দিনগুলিতে বদলে যায় গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের লোগো। বিষয়টা এখন প্রায় সবারই জানা। অপেক্ষা চলে বরং কেমন ডুডল হচ্ছে এবার?- সেটা নিয়ে।
আর তাই এ বছরের মেমরেবোল ইভেন্টসগুলোর মধ্যে হিমু খালি পায়ে ঢুকে গেল গুগলের হিজিবিজি আঁকাআঁকির লোগোতে। হিমুকে শব্দে শব্দে আঁকা শিল্পী হুমায়ূন আহমেদকেও গুগল ভোলেনি।
গল্পের জাদুকর বসে আছেন চেয়ারে, হাতে বই, টেবিলের ওপর চায়ের আয়োজন। চারপাশে যেন নুহাশপল্লীর সবুজের সমারোহ। আর লেখকের ঠিক সামনেই দূর থেকে হেঁটে আসছে তার সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র। সেই হলুদ পাঞ্জাবি, খালি পায়ের হিমু।
২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনটি ‘আজ রবিবার’ না হলেও তুখোড় অভিনেতা জাহিদ হাসানের সেই ডায়লগ মনে পড়েই যায়.. ‘এই ছবিটাতো দেখতে হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি……’