যদি যাত্রা হয় প্রতিকূলতার পথে সেখানে সবচেয়ে নির্ভরতার স্থানটি হয় প্রিয় বন্ধুর কাছে। সেখানে কেউ আশ্রয় খোঁজে, কেউ খোঁজে একটুখানি ভালোবাসা। পালিয়ে বাঁচতে সবার আগেও মানুষ খোঁজে বন্ধুকেই। নিরুত্তর ভাবে, বিনা জিজ্ঞাসায়, সব কিছুকে পেছনে ফেলে আগলে রাখে কেবল বন্ধুই। কখনো পরিবার থেকে বেশি, কখনো কম, কিন্তু বন্ধু সর্বোত্তম।
বন্ধু রাশেদ সেই সকল স্থান থেকে বিদায় নিয়েছে বহুবছর আগে। কত বছর বছর তো পেরিয়েই গেল। তবে কি রাশেদ হারিয়ে যাবে? নাহ। রাশেদ বেঁচে থাকবে। শিল্পী রাশেদের স্মৃতি রক্ষার যেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল আবেগের তাড়নায়, সেই আবেগ আজ সাংগঠনিক তকমায় এগিয়ে চলেছে বেশ।
শিল্পী রাশেদ স্মরণে তার বাফার চারুকলা বিভাগের বন্ধুরা তাই এক-দুই করে তেরো বর্ষকাল ধরে আয়োজন করছে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। গঠিত হয়েছে রাশেদ স্মৃতি পরিষদ। সেখানে প্রতি বছর সম্মানিত হন তরুণ শিল্পীরা। থাকে ভ্রাম্যমাণ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। রাশেদ স্মৃতি পরিষদের এই আয়োজনের পাশে রয়েছে শিল্পকলা একাডেমী। রয়েছে অগ্রজ শিল্পীগণ। শিল্পী রাশেদের স্মরণে আরও বহুদূর পথ হেটে যেতে চান এবছরের আহ্বায়ক জয়ন্ত সরকার জন। যিনি এই পরিষদের আহ্বায়ক।
চলছে শিল্পকলা একাডেমীতে রাশেদ স্মৃতি পর্ষদের ১২ তম শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। শেষদিন ৩০ নভেম্বর। এবছর বিচারকের রায়ে সেরা শিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন পূর্নিয়া মৃত্তিকা। সম্মানিত পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন শিল্পী পাপন কর্মকার, আশরাফুল ইসলাম, আখিনূর বিনতে আলী এবং অংথোয়াই মারমা।