বিমনাবন্দরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনও ঢের সময় বাকি বিমান চড়ে বসার। ওদিকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এমন সময়েই হয়তো মেইল একাউন্টটা দেখা দরকার, কিংবা অনলাইনে পাঠাতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য। এমনও হতে পারে কারও সঙ্গে জরুরি কথা বলা অতীব প্রয়োজন। সমস্যাটা হলো এয়ারপোর্টটা তো চিরচেনা অফিস যাওয়ার পথের বাস কিংবা ট্রেন স্টেশন না যে সবকিছু নখদর্পনে থাকবে। বেশিরভাগ যাত্রীর কাছে এয়ারপোর্ট জায়গাটাই বেশ অচেনা। আর যদি দু’একবার কেউ গিয়েও থাকেন, বৃহদায়তনের একটি পরিসর আর মানুষের অনন্তর অমন আসা যাওয়ার অবারিত স্রোতে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।
কিন্তু বিমানবন্দরগুলোতে সাধারণত ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকে না, থাকে তো? হ্যাঁ থাকে। সমস্যাটা হলো পাসওয়ার্ড নিয়ে। আপনি যদি বিমনাবন্দরের ওয়াই-ফাই সুবিধা ব্যবহারের পাসওয়ার্ডটাই না জানেন তবে আপনাকে কম করে হলেও গুনতে হবে ১০ ডলার অর্থ্যাৎ বাংলাদেশি টাকায় কমবেশি ৮০০ টাকা। এমন অযাচিত বাড়তি অর্থ গুণতে আপনার-আমার কারোরই আপত্তি না থাকার কথা না।
ভাবছেন এমন অবস্থায় পড়লে কি করা যায়? সমস্যা থাকলে কোথাও না কোথাও সমাধানটাও থাকেই। আর সমাধানটা পাওয়া যায় সাধারণত একদল মানব হিতৈষী মানুষের কাছ থেকেই। এমনই একদল মানুষ গড়ে তুলেছেন, সারা পৃথিবীর এয়ারপোর্টগুলোর ওয়াইফাই ব্যবহারের পাসওয়ার্ডের তালিকা ভিত্তিক মানচিত্র। ওয়েব ভিত্তিক এ তালিকা স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয়।
সারা বিশ্বের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীরা এ তথ্যগুলো হালনাগাদে সহায়তা করছেন। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে দেখে নেওয়া যাবে যাত্রা পথের বিমনাবন্দরগুলোর ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ৪টি, পাকিস্তানের ১টি এবং নেপালের একটি বিমানবন্দরের পাসওয়ার্ড ক্রাউড শেয়ারিংয়ের ভিত্তিতে তৈরি করা মানচিত্রটিতে দেওয়া আছে। তবে এখনও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ওই মানচিত্রে দেওয়া নেই।
চাইলে আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন, যদি আপনার কাছে থাকে কোনো বিমনাবন্দরের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। এমনও তো হতে পারে আজকের শেয়ার করা পাসওয়ার্ডটি একদিন আপনাকেই বড় কোনো বিপদ থেকে উদ্ধার করবে!