অনেকদিন পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট খেলছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশ এমন একটা সিরিজ খেলছে, যেখানে কিছুই হচ্ছে না পরিকল্পনা মতো। খেলার শুরুতে টস জিতে আজগুবি সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোন জায়গাতেই চেনা যাচ্ছে না বাংলাদেশকে। বিদেশের মাটিতে শেষ কবে এরকম ভরাডুবির শিকার হতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে তা মনে করতে দর্শকদের বেশ কিছুক্ষণ স্মৃতি হাতড়াতে হবে। শুধুমাত্র দর্শককুল নয়, চিন্তিত তাই বিসিবিও।
ফেসবুকের নিউজফিড, পত্রিকার পাতায় ঘুরেফিরে বারবার আসছে দুর্বল ক্যাপ্টেন্সির কথাই। টস জিতেও অহেতুক বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ততোধিক অপরিণত উত্তর, প্রথম টেস্টের পর নিজের বোলারদেরই কড়া সমালোচনা সাথে নিজের দায়িত্বহীন ব্যাটিং- এসবকিছুই অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের বিকল্প খুঁজতেই বাধ্য করছে বোর্ডকে। বিসিবি প্রধানও দিয়েছেন সে ধরণের ইঙ্গিত। এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাধ্যমেই হয়তো শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুশি চ্যাপটার, না দল থেকে তিনি বাদ পড়ছেন না, তবে কাঁধ থেকে নামছে অধিনায়কত্বের দায়। দু’মাস পরে, নতুন বছর শুরুর দিনেই পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলতে দেশে আসবে লংকানরা। সুতরাং, মুশফিক না থাকলে কে হবেন টেস্ট অধিনায়ক- সবার মনে প্রশ্ন এটাই!
ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি থেকে। তাই মুশফিককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে দলের সম্ভাব্য অধিনায়কত্বের দৌড়ে আছেন দুই সিনিয়র সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
অবশ্য গুজবে বিশ্বাসী হলে সাকিবের পাল্লা ভারি, কারণ বিসিবি নাকি তাকে নিয়েই আগ্রহী। কিন্তু মাত্র কদিন আগেই নিজে বিশ্রাম চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাই সামনের দিনগুলোতে সাকিব আদৌ নিয়মিত প্রতিটি টেস্ট খেলবেন কিনা সেটাও কৃর্তপক্ষের ভাবতে হচ্ছে বারবার।
শেষ ক’বছরে তিন ফরম্যাটেই দলের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হয়ে আছেন তামিম ইকবাল খান। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং আরো কিছু বড় আসরে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তার। তাই সাকিব না আসলে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে তামিমেরই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
যদিও দিনশেষে, সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচক ও বোর্ড। তামিম ও সাকিবের মতো দু’জন দাবিদারের বদলে আনকোরা কাউকে বাছতে পারেন তারা। কারণ, বাংলাদেশে এমন ঘটনা না ঘটলেও বিদেশে এহেন নজির প্রচুর!